রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের ৭ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা রোহিঙ্গা সংকটের সপ্তম বছরে পা দিয়েছি, তবে কোনো সমাধান দেখছি না। এত দীর্ঘ সময় ধরে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার আর্থ-সামাজিক, জনসংখ্যাগত এবং পরিবেশগত ব্যয় বাংলাদেশকে সীমাবদ্ধতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদ ও টেকসইভাবে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা এবং অধিকার রয়েছে। মিয়ানমারে এই সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব।
রোহিঙ্গারা তাদের বহনযোগ্য দক্ষতার বিকাশ ঘটাচ্ছে, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে এবং তাদের শিশুরা বাংলাদেশের ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে মিয়ানমারের ভাষা শিখছে, যাতে তারা তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় ধরে রাখতে পারে। মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পর রাখাইন সমাজে সুচারুভাবে পুনর্মিলন করতে পারে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অনেক হ্রাস পাচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি বছর শিবিরের অভ্যন্তরে প্রায় ৩০ হাজার নবজাতক বাড়ছে। এটি সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে। নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও বিলম্ব এবং মানবিক সহায়তার ঘাটতি সমগ্র অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত, তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা।