ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুস সালাম বলেন, ‘আজকে সারা দেশে ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে। কেউ কথা বলতে পারবে না। সবাই ভয় ও আতঙ্কের মাঝে আছে। এসব কারণে মানুষের মাঝে আজ হতাশা বিরাজ করছে। আমরা কোন সমাজে আছি, সকল অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত। তাদের বানানো সংবিধান অনুযায়ী আমাদের নির্বাচন করতে হবে। দেশটা কি মগেরমুলুকে পরিণত হয়েছে। সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প পথ সরকারের খোলা নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যেখানে মামলা হলে কোর্টে হাজির হই, তবে কেন আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। বিএনপির অধিকাংশ নেতারা জামিনে থাকা সত্ত্বেও তাদের আটক করা হচ্ছে। বিএনপি কি নিষিদ্ধ দল? আওয়ামী লীগ চেয়েছিল ক্যাসিনো যুবলীগের মাধ্যমে বিএনপিকে দমন করার। তাদের সোনার ছেলেরা সারা দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন আছে? থাকলে মজনু, রবিনসহ বিরোধী নেতারা জেলে থাকত না। জেল থেকে মুক্তি পেলে আবার কারাগারের গেটে আটক করা হচ্ছে। আজকে প্রশ্ন এসেছে আমরা কি বেঁচে থাকতে পারব? আজকে যিনি আওয়ামী লীগ প্রধান তিনি সরকার প্রধান। তিনি যে ভাষায় কথা বলেন, সেটা তিনি কোন পদে থেকে কথা বলছেন?’
আব্দুস সালাম বলেন, ‘আজকে কি কারণে রবিনকে ঘেরাও করে আটক করা হলো? এর জবাব কে দিবে? আজকে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় পদে কর্মকর্তারা যে ভাষায় এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ছবক দেন তারা কি স্বাভাবিক মানুষ! এরচেয়ে ভালো বলে দিন বিএনপি এদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। যারা জনগণের মৌলিক অধিকার ও রাষ্ট্র সেবার শপথ নিয়েছেন তারাও আওয়ামী ভাষায় কথা বলছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, সিকান্দার কাদের, হাজী মনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক পাপ্পা সিকদার, ছাত্রদল দক্ষিণের সদস্য সচিব নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, শ্রমিক দল দক্ষিণের আউয়াল আকন্দ প্রমুখ।