এনআইডি সার্ভার বন্ধ, যে তথ্য দিল ইসি

Slider তথ্যপ্রযুক্তি


নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের পরিষেবা আজ বুধবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। বেলা ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

তিনি জানান, গতকাল (মঙ্গলবার) রাত থেকে সার্ভার মেইনটেন্যান্সের কাজ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সার্ভারের কাজ চলমান রয়েছে।আর কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের কাজ শেষ হবে। এর পরই এনআইডি সেবা আবার চালু হবে।

সরকারি ছুটি থাকলে সার্ভারের মেইনটেন্যান্সের কাজ করা হয় বলেও জানান নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার।

এর আগে সাইবার হামলার আশঙ্কায় গত সোমবার (১৪ আগস্ট) অফিস শেষে সন্ধ্যায় ইসির সার্ভারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সার্ভার ও তথ্যভাণ্ডারে ইসির সাধারণ কর্মকর্তারা ঢুকতে পারেননি। শুধু কারিগরি কমিটির সদস্যরা মনিটরিং করতে যেসব এক্সেস দরকার সেটি করতে পেরেছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

জানা গেছে, দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যভাণ্ডারের কোনো ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআরএস) বা যথাযথ ব্যাকআপ (বিকল্প সংরক্ষণ ব্যবস্থা) নেই। ডিআরএস না থাকায় জাতীয় এই তথ্যভান্ডার অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইট থেকে সম্প্রতি লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়। এরপর দেশে ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি আলোচনায় আসে।

এদিকে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বড় ধরনের হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল একটি হ্যাকার গোষ্ঠী। নিজেদের ভারতের একটি হ্যাকার গোষ্ঠী দাবি করে বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তানেও সাইবার আক্রমণের ঘোষণা দেয় তারা। গত ৩১ জুলাই আক্রমণের হুমকি দিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাইবার জগৎ ধ্বংসের হুমকি দেওয়া হয়।

এর পরই সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সাইবার হামলা রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসহ (সিআইআই) দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যখাত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *