নানা জল্পনা-কল্পনার পর ঘোষণা করা হলো বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের নাম। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ওপরই আস্থা রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
তামিম ইকবাল দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই আজ শুক্রবার নিজ বাসায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিবের অধিনায়কত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
আগে থেকেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করে আসছিলেন সাকিব, এবার যোগ হলো ওয়ানডে। অর্থাৎ, ২০১৭ সালের পর আবারও তিন ফরম্যাটে এক অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।
এর আগে গত ৩ আগস্ট নাজমুল হাসান পাপন ও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকের পর ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়েন তামিম। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পাশাপাশি এশিয়া কাপেও না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিম।
তামিমের পর কে অধিনায়ক হবেন সেটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা কম হয়নি। গুঞ্জন ছিল তামিমের অনুপস্থিতিতে আফগানিস্তান সিরিজে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা লিটন দাসকে নিয়েও। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজও ছিলেন আলোচনায়।
এর আগেও কয়েক ধাপে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের ভূমিকা পালন করেছেন সাকিব। তবে তার কোনোটিই দীর্ঘ মেয়াদে না। তার নেতৃত্বে ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৫ সালে দুটি ও ২০১৭ সালে ১টি ম্যাচে মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব করেন সাকিব। তার নেতৃত্বে খেলা ৫০ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জয় পায় ২৩টিতে, হারে ২৬টিতে। এছাড়া ফলাফল হয়নি একটি ম্যাচে।