সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট। এর মধ্যে দুপুর ২টায় বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ার থেকে শুরু করে আবুল হোটেল পর্যন্ত মিছিল করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। একই সময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি মিছিল করবে কমলাপুর থেকে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত।
টানা ১২ দিন বিরতির পর গণমিছিল নিয়ে রাজপথে ফিরছে যুগপৎ আন্দোলন। কর্মসূচি বাস্তবায়নে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দলটি। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে দায়িত্ব। এ গণমিছিল থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।
বিএনপি নেতারা বলেন, ২৯ জুলাই রাজধানীর প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচির ব্যর্থতায় বড় ধরনের ধাক্কা খায় বিএনপি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, কর্মসূচি সফল করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আজকের গণমিছিলে সাধারণ মানুষেরও ঢল নামবে।
মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, আমাদের গণমিছিল হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে মহানগর উত্তরের সব ওয়ার্ড ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করবেন।
কর্মসূচি বাস্তবায়নে এবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের গণমিছিলে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে আরও অংশ নেবেনÑ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নুল আবদিন ফারুক, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, আতাউর রহমান ঢালী, জহিরুল হক, শাহজাদা মিয়া, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের গণমিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আরও অংশগ্রহণ করবেনÑ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমদ আযম খান, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, ফজলুর রহমান, মঈনুল ইসলাম খান শান্ত, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দীন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, হারুনুর রশিদ ও বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, শান্তিপূর্ণ এই গণমিছিল সফল করতে ছাত্রদল প্রস্তুত রয়েছে।
এদিন বিএনপি ছাড়াও সমমনা অন্যান্য জোট ও দল একই কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত; ১২-দলীয় জোট বিকাল ৪টায় বিজয় নগর পানির ট্যাংকের সামনে থেকে; এলডিপির উদ্যোগে কারওয়ানবাজার এফডিসিসংলগ্ন এলডিপি অফিসের সামনে থেকে বিকাল ৩টায়; গণফোরাম ও পিপলস পার্টি মতিঝিল নটর ডেম কলেজের উল্টো দিক থেকে, গণঅধিকার পরিষদ (নুর) পুরানা পল্টন থেকে বিকাল ৩টায়; গণঅধিকার পরিষদ (রেজা) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিকাল ৩টায় গণমিছিল শুরু করবে। এনডিএমের উদ্যোগে মালিবাগ মোড় থেকে সন্ধ্যা ৭টায় গণমিছিল শুরু হবে। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট পুরানা পল্টন আলরাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে বিকাল ৩টায়; লেবার পার্টি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় এবং সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় মিছিল শুরু করবে।