১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে রিচার্ড এনগারাভার বল ফুলটস বানিয়ে লেগ সাইডে বাবর আজমের ফ্লিক। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার দিয়ে বল সীমানাছাড়া, সেঞ্চুরির উদযাপন বাবর আজমের। তবে সেই আনন্দ মাটি হতে বসেছিল শেষ ওভারের প্রথম বলে, কাসুন রাজিথার বলে বাবর আজম ক্যাচ দিয়ে ফিরলে। তবে স্বদেশীর সেঞ্চুরিকে বৃথা যেতে দিলেন না মোহাম্মদ নওয়াজ। পরের চার বলে প্রয়োজনীয় ১৪ রান তুলে কলম্বো স্ট্রাইকার্সকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেলেন এই পাকিস্তানি।
প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানের বিশাল সংগ্রহ তোলে গল। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাবরের ৫৭ বলের সেঞ্চুরিতে ১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নিল কলম্বো।
১৮৯ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন কলম্বোর দুই ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কা ও বাবর। ওপেনিং জুটিতে মাত্র ১২ ওভার ৩ বলেই আসে ১১১ রান। এই রানে নিশাঙ্কা ফিরলেও রুদ্রমূর্তি অব্যাহত রাখেন বাবর। তিনে নামা নুয়ানিন্দু ফার্নান্দোকে নিয়ে গড়েন ৩১ বলে ৫৫ রানের জুটি। দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যখন তিনি আউট হন, বাকি কাজটুকু সারেন নওয়াজ। মাত্র ৪ বলে কার্যকরী ১৪ রান তুলে অপরাজিত থাকেন তিনি।
গলের হয়ে এদিন উইকেট না পেলেও কিপটে বোলিং করেন সাকিব। ৪ ওভারে মাত্র ৩০ রান দেন তিনি। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে গলের সফল বোলার তাবরিজ শামসি।
এর আগে, উড়ন্ত সূচনা করেও সেটি টেনে নিয়ে যেতে পারেনি গল। মাত্র ৪৬ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে প্রথম ৮৭ রান আসে। লাসিথ ক্রুসপুল (১৯ বলে ৩৬) ফিরলে স্লথ হয়ে আসে রানের গতি। মূলত ভানুকা রাজাপাকসের একশর কম স্ট্রাইকরেটের ব্যাটিংয়েই দুইশ তুলতে পারেনি গল। ৩৫ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন টিম সেইফার্ট। ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পাননি সাকিব।