আগামী অক্টোবরের শেষদিকে কিংবা নভেম্বরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তফসিলের পর উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনে সাধারণত আইনি বাধা থাকে। তাই এর আগেই বেশ কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এগুলোর মধ্যে পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্প, কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ নির্মাণ, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, আগারগাঁও-মতিঝিল রুটের মেট্রোরেল, শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ এবং আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্টোবরের মধ্যে অবকাঠামোগত এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন।
পদ্মা রেলসংযোগ: নানা নাটকীয়তা আর চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রমত্তা পদ্মার বুক চিরে নির্মিত সেতু গত বছরের ২৫ জুন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সেতুতে রেলপথ সংযোগের একটি প্রকল্প বর্তমানে চলমান আছে। পদ্মা সেতু রেলসংযোগের এ প্রকল্পটি আগামী মাসে উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কোথায়, কীভাবে হবে- এসব নিয়ে গত সপ্তাহে একটি বৈঠকও হয়েছে। বৈঠক সূত্রের খবর, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় থাকছেন প্রায় তিন হাজার অতিথি। একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যেই এর দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে একটি ট্রেন গত ৪ এপ্রিল প্রথমবারের মতো পদ্মা রেল সেতু পাড়ি দেয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাস থেকে পদ্মার বুক চিরে নিয়মিত ট্রেন ছুটবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধনের লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আশা করছি সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হতে পারে।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন বসানো এবং স্টেশনসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে পৃথক প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। জিটুজি পদ্ধতিতে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি)। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
শাহজালালে থার্ড টার্মিনাল : হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এখন প্রতিদিন ৩০টির বেশি বিমান সংস্থার ১২০-১৩০টি বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। প্রতিদিন এসব বিমানের ১৯ থেকে ২১ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনাল (টার্মিনাল ১ ও ২) ব্যবহার করেন। বর্তমানে বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীর সেবা দেওয়ার সুযোগ আছে। নির্মাণ করা হচ্ছে তৃতীয় টার্মিনাল। এটিও আগামী অক্টোবরে আংশিক উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
২০১৭ সালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণ হিসেবে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা দিচ্ছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক সংস্থা জাইকা। অবশিষ্ট টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। টার্মিনাল ভবনটির নকশা করেছেন সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের নকশাকার স্থপতি রোহানি বাহারিন। এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করে রাখা যাবে। ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান হয়েছে দৃষ্টিনন্দন টার্মিনাল ভবন। এখন অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ চলছে।
তৃতীয় টার্মিনালে মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থা থাকবে। আগামী অক্টোবরে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু করা হবে। বহির্গমনের জন্য মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার থাকবে (১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টারসহ)। এ ছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ কাউন্টারসহ বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে ৬৬টি। আগমনীর ক্ষেত্রে ৫টি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি কাউন্টার থাকবে। এ টার্মিনালে ব্যাগেজ বেল্ট থাকছে ১৬টি।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ: সরকারের আরেকটি ফাস্টট্র্যাক প্রকল্প চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে রেলপথটি উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে রেলে যাতায়াত করা যাবে।
রেলপথটির নির্মাণকাজ দুটি অংশে বিভক্ত। এর মধ্যে দোহাজারী থেকে চকরিয়া অংশের কাজ করছে সিআরইসি ও তমা কনস্ট্রাকশন। আর চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অংশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসিইসিসি ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত হয়। ২০১০-এর জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ আছে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ এগিয়ে চলছে।
একই তথ্য পাওয়া গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসিইসিসির প্রজেক্ট ম্যানেজার চ্যাং ইয়ংগির কথায়। তিনি বলেছেন, আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: রাজধানীর যানজট নিরসনে বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই চালু হবে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ। প্রায় ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ অংশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। এটি চালু হলে মাত্র ১০ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যাতায়াত করা যাবে।
জানা গেছে, বিমানবন্দর-কুতুবখালী চার লেনের এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হলে বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই যাত্রাবাড়ী যাওয়া যাবে।
সেতু বিভাগের অধীনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দক্ষিণে কাওলা-কুড়িল-বনানী-মহাখালী তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত উড়াল সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়কে ওঠা-নামার জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে। র্যাম্পসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে।
মেট্রোরেল: দেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইন এমআরটি ৬-এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন হচ্ছে আগামী অক্টোবরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকেই যাত্রী চলাচল শুরু হয় দেশের প্রথম এই বৈদ্যুতিক ট্রেনে।
এখন আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ চালুর অপেক্ষায় আছে ঢাকাবাসী। গত ৭ জুলাই বিকাল সাড়ে ৪টায় আগারগাঁও স্টেশনে এই পরীক্ষামূলক যাত্রার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেসময় সড়কমন্ত্রী জানান, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর যাত্রী পরিবহন শুরু হবে আগারগাঁও থেকে মতিঝল অংশের। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশন যেভাবে ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হয়েছিল, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের ক্ষেত্রেও তাই করা হবে।
এই অংশে মেট্রোরেলের সাতটি স্টেশন হলো বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, টিএসসি, সচিবালয় ও মতিঝিল। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশন চালু হতে পারে।
সড়কমন্ত্রী বলেন, অক্টোরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে পারফর্ম্যান্স টেস্ট, সিস্টেম ইনটিগ্রেশন টেস্ট বা এসআইটি এবং ট্রায়াল রান চলছে। এই পরীক্ষাগুলো শুক্রবার দিনে এবং অন্যান্য দিন রাতে করা হবে।
জানা গেছে, দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেট্রোরেল রুটের নাম ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি)-৬। প্রকল্পটির নির্মাণব্যয় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। স্টেশনগুলো হচ্ছে- দিয়াবাড়ী (উত্তরা নর্থ), উত্তরা সেন্টার, উত্তরা সাউথ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয়সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, টিএসসি, সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর। এমআরটি-৬ লাইনে চলবে ২৪টি ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনে রয়েছে ছয়টি করে কোচ বা বগি। ভবিষ্যতে আরও দুটি করে বগি সংযোগ করা যাবে। ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার চলতে সক্ষম। তবে চলবে ১০০ কিলোমিটার গতিতে। তবে পথের বাঁকে কমবে গতি। প্রতিটি ট্রেন এক সঙ্গে দুই হাজার ৩০৮ জন যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। ভাড়া দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল ও কমলাপুর ১০০ টাকা।
খুলনা-মোংলা রেললাইন: আগামী সেপ্টেম্বরে খুলনা-মোংলা রেললাইনের উদ্বোধন হতে পারে। প্রকল্পটি ২০১০ সালে একনেক সভায় অনুমোদন হয়েছিল। সেসময় প্রাথমিকভাবে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজের অগ্রগতি না হওয়াই পঞ্চমধাপে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে। সর্বশেষ মেয়াদ বেড়ে খুলনা-মোংলা রেললাইনের কাজ শেষ করার মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। তবে নির্মাণ কাজ শেষ করার মেয়াদ হলো চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পর্যন্ত। বাকি এক বছর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের ডিফেক্ট লাইবেলিটি পিরিয়ড হিসেবে ধরা আছে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী মাসের ভারত সফরের সময় খুলনা-মোংলা এবং আখাউড়া (বাংলাদেশ) এবং আগরতলা (ভারত) রেললাইন উদ্বোধন করা হবে।
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন: ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে একমত হয় উভয় দেশ। আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই রেললাইনের উদ্বোধন করতে পারেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন। ভারতীয় ঋণে বাস্তবায়িত হচ্ছে এ প্রকল্প।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছিল একনেক। এরপর প্রকল্প সংশোধনে সময় বাড়ে ২০২২ সালের জুন নাগাদ। চতুর্থবারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। মোট প্রকল্পব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগামী মাসে প্রকল্পটির উদ্বোধন হওয়ার কথা। এ প্রকল্প উদ্বোধনের পর আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
কর্ণফুলী টানেল: আসছে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে। কর্ণফুলীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে টানেলটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। চার লেনবিশিষ্ট দুটি টিউবের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। এছাড়া মূল টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি ফ্লাইওভার থাকবে।
২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকা হয়। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সর্বশেষ সংশোধনীতে প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে উপরোল্লিখিত প্রকল্পগুলো ছাড়াও আরও বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।