ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে মারধরের শিকার গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের কানের পর্দা ফেটে গেছে এবং মাথার বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বেঁধেছে।
আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা জানেন আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে একজন মাদ্রাসাছাত্রকে শিবির বলে আওয়ামী লীগের গুণ্ডারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। একইসঙ্গে বুয়েটের ৩৪ জন ছাত্রকে শিবির বলে পুলিশ আটক করেছে এবং দেশে ভিন্নমতের মানুষের ওপর যে হয়রানি গ্রেপ্তার চলছে, তার প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ ক্যাম্পাসে একটি কর্মসূচি ডেকেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি হিসেবে নরুল হক নুর এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই কর্মসূচিতে নুরের ওপর ছাত্রলীগের যারা হামলা করেছেন তাদের হাতে চাবির রিং, পিন এবং বাইকের তালা ছিল। তাদের অনেকে মাক্স পরেছিলেন। এখানেই প্রমাণিত হয় নুরুল হক নুর যেহেতু বর্তমান বাংলাদেশের একটি প্রতিবাদী মুখ, তাই তাকে হত্যার পরিকল্পনায় এই হামলা চালিয়েছিল তারা। তবে আমাদের কর্মীদের সহযোগিতায় সেই হামলা থেকে নুরকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছিল। এ ঘটনায় আমাদের ২৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন।’
রাশেদ বলেন, ‘এ ঘটনায় আপনারা ছাত্রলীগের বক্তব্য শুনেছেন। তারা বলছে, নুরের ওপর তারা কোনো হামলা করেনি। কিন্তু দেশের সকল গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি, সহসভাপতির নির্দেশে ছাত্রলীগের কর্মীরা নুরের ওপর হামলা করেছে। আমরা শাহবাগ থানায় মামলা করতে গিয়েছি, আমাদের মামলা নেওয়া হয়নি।’
গণঅধিকার পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা জানেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল নুরুল হক নুরকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে হাসপাতাল কর্তপক্ষ আমাদের বলেছে, তাদের ওপর প্রসাশনের চাপ আছে, সরকারের চাপ আছে—তারা নুরকে আর হাসপাতালে রাখতে পারবেন না। জোরপূর্বক তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে আমরা তাকে পপুলার ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে এমআরআই করিয়েছি। সেখানে দেখা গেছে, নুরুল হক নুরের মাথার বিভিন্ন জাগায় রক্ত জমাট বেঁধে আছে এবং ইনফেকশন হয়েছে। তাই তার মাথা এখন ঝিমঝিম করছে, তিনি ভালো করে ঘুমাতে পারছেন না। তার কানের পর্দা ফেটে গেছে ও তার ঠোঁট থেঁতলে গেছে। তাই তিনি ভালো করে কথা বলতে পারছেন না। যেহেতু তাকে দেশের কোনো প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না, তাই তাকে গণস্বাস্থ্যে ভর্তি করা হয়েছে।’