নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রশ্ন করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। জবাবে সিইসি বলেছেন, বিষয়টি বিবেচনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থানীয় পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা এর অনুমোদন দেবেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ প্রশ্ন করেন পিটার হাস।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে স্বচ্ছতার জন্য মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা আমরা মার্কিন দূতকে জানিয়েছি। সে প্রসঙ্গে উনি (পিটার হাস) জানতে চেয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি পাবেন কি না? এর জবাবে বলেছি, এ বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় আছে। স্থানীয় পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ওখানকার অবস্থা বিবেচনা করে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেবেন। আমরাও কেন্দ্রীয়ভাবে এ বিষয়টি পর্যালোচনা করে অবহিত করব।’
আরপিও সংশোধনের বিষয়ে পিটার হাস জানতে চেয়েছেন উল্লেখ করে কাজী হাবিবুর আউয়াল বলেন, ‘উনিও দেখেছেন, শুনেছেন আরপিও সংশোধনে আমাদের ক্ষমতা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা উনার কাছে ব্যাখ্যা করেছি কীভাবে এটা বাড়ানো হয়েছে।’
সিইসি বলেন, ‘উনি জানতে পেরেছেন, শুনেছেন, এখানকার মোর ভাইব্রেন্ট (সক্রিয়) পলিটিক্যাল পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে তারা ওইভাবে ভাইব্রেন্ট নয়। এর জবাবে আমরা বলেছি, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে গেলে আমাদের বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হয়, আমরা সেগুলো স্ট্রিক্টলি ফলো করেছি। এজন্য অনেক দল নিবন্ধন পায়নি। মাত্র দুটি দল নিবন্ধন পেতে পারে। তারা উপজেলা ও জেলা লেভেলে ক্রাইটেরিয়াগুলো পূরণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা জিনিস বলেছি স্পষ্ট করে, নির্বাচনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। যেটা আমরা সবসময় নির্বাচন কমিশন থেকে বলে থাকি। দেশে যে সংকট বিরাজ করছে, তা রাজনৈতিক। সেটার সঙ্গে আমার কর্মের কোনো সংঘাত নেই। এ সমস্যা যদি রাজনৈতিকভাবে সেটেল হয়ে যায়, তাহলে আমাদের জন্য নির্বাচন আয়োজন করা অনেক কমফোর্টেবল হবে, অনেক সহজ হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে যে প্রকট কতগুলো বিষয় রয়েছে, সেগুলো যেকোনও মূল্যে সুরাহা হয়ে যাবে।’