গয়েশ্বরের ওপর হামলা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

Slider রাজনীতি


বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভে সহিংসতা নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি সহিংসতা ও হামলার ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ-স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।

দেশটির স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেছেন। পরবর্তী সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ম্যাথিউ মিলারের কাছে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) শীর্ষস্থানীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র আরও কী পদক্ষেপ নিতে পারে সে প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন।

ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় লাখো মানুষ বিক্ষোভ-মিছিল করেছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক খবরে বলা হয়েছে, শনিবার পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষ এবং বিরোধী নেতাদের ওপর নির্মমভাবে হামলা চালায়। এতে শীর্ষস্থানীয় বিরোধী নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ শতাধিক আহত হয়েছেন।
ছবি:সংগৃহীত

ক্রমবর্ধমান এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ বিরোধী দলের ওপর পুলিশের বর্বরতা এবং এ বিষয়ে সরকারের স্পষ্টত কট্টরপন্থী অবস্থান বিবেচনা করে সামগ্রিক বিষয়কে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সম্ভাবনা নিশ্চিত করতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কী পদক্ষেপ নেবে বলে প্রশ্ন করেছেন ওই সাংবাদিক।

এর জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা এই সপ্তাহান্তের রাজনৈতিক বিক্ষোভকে ঘিরে বাংলাদেশে ভীতি প্রদর্শন এবং রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় উদ্বিগ্ন। আমরা এসব সহিংসতার পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে এবং সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করি।’

এ সময় তিনি আরও বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যেন শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হয়ে সমাবেশ করতে পারে এবং তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে, সেজন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে সকল পক্ষকে মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান করতে এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের মতো কাজ থেকে বিরত থাকতেও আমরা আহ্বান জানাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *