জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আরোপিত দানকর বৈধ ঘোষণা করা রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে (লিভ টু আপিল) নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাকে দান করা টাকার ওপর ১২ কোটি টাকা কর দিতেই হবে।
আজ রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- আইনজীবী সরদার জিন্নাত আলী।
এর আগে গত ৩১ মে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ১২ কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আর গত ২১ জুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হয়। এরপর গত ১৭ জুলাই এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৩ জুলাই দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। আজ এ বিষয়ে রায় দিলেন আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১-২০১২ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ড. ইউনূস তিনটি ট্রাস্টকে ৭৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা দান করেন। অনুদানকৃত অর্থের ওপর ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় এনবিআর।
পরে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস। এরপর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এর পর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন।
১৫ কোটি টাকার মধ্যে ইতিমধ্যে ৩ কোটি টাকা দিয়েছেন ড. ইউনূস। এখন তাকে আরও ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।