আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সফরে এসে বলেছে, এ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই।
আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আসল খবর হচ্ছে, বিএনপির নেতারা আশার মালা গেঁথে প্রহর গুনছেন কখন আসবে উজরা জেয়া, কখন আসবে ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা। কিন্তু তারা এসে চলে গেল। বিএনপি যা শুনতে চেয়েছিল, তাদের চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে। বিএনপি নেতাদের মধ্যে এখন আর আনন্দ নেই। যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ বলে গেছে, “তত্ত্বাবধায়ক আমাদের প্রয়োজন নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চাই।” বিএনপি নেতারা এখন আর খুশি নেই। তাদের আশা পূরণ হয়নি। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতে হবে, সেটাই তাদের জ্বালা।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মানসম্মান থাকতে আন্দোলন ছেড়ে নির্বাচনে আসুন। অন্যথায় মানসম্মান থাকবে না। বিএনপিকে পরিষ্কার বলতে চাই নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনে না আসলে সেটা আপনাদের বিষয়। কিন্তু নির্বাচনে বাঁধা দিতে আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিহত করব।’
বিএনপির ৫৪ দল, ৩৬ দল, ২৭ দফা, এক দফা, বিএনপি জোট—ভুয়া উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ বিএনপির ভুয়া রাজনীতি চায় না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির অন্তরজ্বালা বেড়ে যাচ্ছে। এক দিনে শত সেতুর উদ্বোধন, আগামী মাসে আরও শত সেতুর উদ্বোধন। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল। চট্টগ্রামে নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল—এত উন্নয়ন কীভাবে ঠেকাবে? বিএনপির ঘুম নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি উন্নয়ন বলতে কিছু করেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের এত উন্নয়ন দেখে বিএনপি বুঝে গেছে নির্বাচনে কী হবে। নির্বাচনে হেরে যাবে জেনে তাদের মন খারাপ। এ জন্য পদযাত্রা করতে গিয়ে খাগড়াছড়িতে, বগুড়ায় স্কুলছাত্রীদের ওপর হামলা করেছে। ককটেল মারে বিএনপি।’
দলীয় নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মাথা গরম করবেন না। বিএনপি পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাইবে। দেশে শান্তি যত থাকবে আওয়ামী লীগের ভোট তত বাড়বে। একদিকে জনগণের শক্তি, অন্যদিকে সন্ত্রাস আর তাণ্ডব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে আজ দফা একটা, স্লোগান একটা—শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিসহ মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।