নবী-ওমারজাইয়ের পাল্টা আক্রমণে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য

Slider খেলা


১৩ ওভার ৫ বলে ৮৭ রান তুলতেই প্রথম পাঁচ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। সেখান থেকে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন মোহাম্মদ নবী ও আজমাতুল্লাহ ওমারজাই। শেষ ৩৭ বলে ৬৭ রান তোলে দলটি। ১৯তম ওভারের শেষ বলে ওমারজাই ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন নবী। তাতে প্রথম ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান।

ইনিংসের শুরুতেই আফগানিস্তানকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান দেন নাসুম। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরতে পারতেন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। তাসকিনের বল সজোরে হাঁকালে টপ এজ হয়। তবে বলটি হাতে আটকাতে পারেননি রনি তালুকদার। তৃতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানোর পর দ্বিতীয় বলও বাউন্ডারিছাড়া করতে যান হজরতউল্লাহ জাজাই। তবে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

চতুর্থ ওভারে আবারো আফগান শিবিরে বাংলাদেশের আঘাত। জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না গুরবাজ। সেই তাসকিনের বলেই ফিরলেন তিনি। যাওয়ার আগে ১১ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রান করেন তিনি।

পরের ওভারে আঘাত হানলেন শরিফুল। এই পেসারের অতিরিক্ত বাউন্সি বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ইব্রাহিম জাদরান। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে পাঁচে নেমেছিলেন করিম জানাত। তবে দলের বিপদ বাড়িয়ে ৫২ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি। ৮ম ওভারে সাকিব আল হাসানের করা চতুর্থ বলে নাজমুল হোসাইন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

৫২ রান হারিয়ে আফগানরা যখন দিশা খুঁজে পাচ্ছিল না তখন দলকে টেনে তোলার কাজ শুরু করেন মোহাম্মদ নবী ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। গড়েন ৩৫ রানের জুটি। ১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লিটন দাসের দুর্দান্ত এক ক্যাচে নাজিবুল্লাহ ফিরলে ভাঙে এই জুটি।

নাজিবুল্লাহর বিদায়ের পর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে আফগানিস্তান। একপাশে দারুণ সব শট হাঁকাতে থাকেন শেষ ওয়ানডেতে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া আজমাতুল্লাহ ওমারজাই। নবীও নিজের সাবলীল খেলা খেলতে থাকেন। ১৯তম ওভারের শেষ বলে ওমারজাইকে থামান সাকিব। তবে বিদায়ের আগে ১৮ বলে ৪ ছক্কায় কার্যকরী ৩৩ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন নবী। শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন রশিদ।

৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন, মিরাজ, নাসুম, মোস্তাফিজ ও শরিফুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *