ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনপ্রক্রিয়ার ওপর আস্থা সৃষ্টির জন্য সব অংশীজনকে ভূমিকা রাখতে হবে। আর সে জন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অর্থবহ সংলাপ এবং নাগরিক সমাজের কাজের ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে হবে।’
স্লোভাকিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী ইইউ সদস্য ইভান স্টিফেনেককে গতকাল বৃহস্পতিবার লেখা চিঠিতে এ কথা বলেছেন জোসেফ বোরেল। চিঠি পাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ইভান স্টিফেনেক।
চিঠিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের বিষয়ে দেশটির সরকার ও সব অংশীজনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সদস্যদেশগুলো নিবিড়ভাবে যুক্ত থাকবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকার চর্চা এবং সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করে।
জোসেপ বোরেল তার চিঠিতে লিখেছেন, বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পরিস্থিতি, উপকারিতা ও সম্ভাব্যতা পর্যালোচনার জন্য তথ্যানুসন্ধান মিশন পাঠানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সভা–সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মৌলিক স্বাধীনতাগুলোর সুরক্ষা গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। তাই যেকোনো মূল্যে সহিংসতা পরিহার করতে হবে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল্যবোধ ও নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই এ বিষয়গুলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সঙ্গে নিয়মিতভাবে উত্থাপন করে থাকে।
বোরেল বলেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়টি ইইউ নিবিড়ভাবে লক্ষ রাখছে। তিনি যেন সম্ভাব্য সেরা চিকিৎসা সুবিধা পান, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে ইইউ বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
এর আগে গত ১২ জুন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে জোসেপ বোরেলকে চিঠি লিখেছিলেন ইভান স্টিফেনেকসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য। তাতে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ, চলমান সংকটের টেকসই ও গণতান্ত্রিক সমাধানের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনার কথা বলা হয়েছিল। গতকাল সে চিঠির জবাব দেন জোসেপ বোরেল।