ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে নুরুল হক নুরের যোগাযোগের অভিযোগ তুলে রেজা কিবরিয়ার দেওয়া বক্তব্যর পর থেকে আলোচনায় গণ অধিকার পরিষদ। এরপর থেকেই দলটির শীর্ষ দুই নেতা একে অপরকে নিয়ে বিষোদ্গার করছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে আসেন। সেখানে দলটির সদস্যসচিব নুরুল হক নুরকে নিয়ে নানা বিষয়ে মন্তব্য করেন তিনি।
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘টাকা-পয়সার প্রতি লোভটা বারবার সে প্রমাণ করেছে। আমরা মনে করি, ভবিষ্যতে এ দলটাকে যদি কোথাও পৌঁছাতে হয়, নুরুল হক নুর সঙ্গে থাকলে হবে না। নুর আমার ওপর রেগে গেছে দুই কারণে। একটা হলো টাকা-পয়সা লেনদেনের স্বচ্ছতায় ওর কিছু সমস্যা আছে। এটা অনেক আগে থেকেই। ২০১৮ সালের আন্দোলনে ওর সঙ্গে যারা ছিল তারা জানে টাকা-পয়সার বিষয়ে ওর স্বচ্ছতার অভাব আছে।’
রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, ‘আমি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের সঙ্গে কাজ করতে চাই না। আমি বিদেশি দালালদের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করতে আসিনি। গণ অধিকার পরিষদকে সব ধরনের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাব থেকে রক্ষা করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত রাখতে আমি বদ্ধপরিকর। দলের অর্থনৈতিক লেনদেনকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।’
মোসাদের সঙ্গে নুরের যোগাযোগের বিষয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘মোসাদের সঙ্গে তোমার সম্পর্ক কী, এ প্রশ্ন করা হলে নুর তার পরিষ্কার উত্তর দেননি। একটা মিটিং সম্পর্কে আমরা জেনেছি। সেখানে টাকার লেনদেন হয়েছে কি না জানতে চাইলে নুর বলেছে, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।’
নিজের অবস্থান নিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘দেশের জন্য আমার বাবা প্রাণ দিয়েছেন। এটা অনেকেই জানেন। আমি নিজে বড় চাকরি ছেড়ে চলে এসেছি মানুষের জন্য কাজ করার জন্য। আমার বেতনের পরিমাণ নির্বাচন কমিশনের স্টেটমেন্টে পাবেন। নুর অভিযোগ করেছেন, আমি ৩ লাখ টাকা বেতনে ইনসাফ কায়েম কমিটির হয়ে কাজ করেছি। এটা হাস্যকর। আমি রোজগার করেছি ৩৯ বছর। নুরুল হক নুর কতদিন করেছে, হালালভাবে এ হিসাবটা তার দেওয়া দরকার।’