ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে শেখ হাসিনা সরকারের জন্য কোনো লাভ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকাস্থ ফেনী জেলা জাতীয়তাবাদী পরিষদের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। এতে সংগঠনের নুরুল আমিন ভূইয়া বাদশার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা সরফত আলী সপু, নবী উল্লাহ নবী, যুবদলের খন্দকার এনামুল হক প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারের যে অবস্থা তারা বাঘের লেজ দিয়ে কান খোঁচায়। শেখ হাসিনা পদত্যাগ যে করবে, কার কাছে ক্ষমতা দেবে; লোকটাকে খুঁজে পাচ্ছে না। ক্ষমতায় দিয়ে কোন দেশে যাবেন, দেশটাও খুঁজে পাচ্ছে না। পাশের দেশের গেলে ‘৭১ সালের মতো শরণার্থী হিসেবে যেতে পারবে। সেন্টমার্টিন আমেরিকাকে দিলে নাকি তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। আসলে শেখ হাসিনা দেশটা দিয়েও যদি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন, তাহলে সেই কাজটি করতে তিনি ভুল করতেন না। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বলা হয়েছে সেন্টমার্টিন তারা চাননি। এর আগে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ভারতকে যা দিয়েছি, তা তারা চিরদিন মনে রাখবে। তাদেরকে দেওয়ার মতো কিছু নেই।’
তিনি আরও বলেন, এই সরকার ভেবেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমেরিকা যাবেন, এই উছিলায় একটা ম্যানেজ করবেন। কিন্তু মোদি নিজের গদি রক্ষা করবেন, নাকি শেখ হাসিনার গদি রক্ষা করবেন? তারই তো সমস্যার শেষ নেই। সে আবার কার জন্য সুপারিশ করবে? মনে হয় কোনো লাভ হয়নি। সীমান্তে কুকুর বিড়ালের মতো মানুষ মারে, তার প্রতিবাদ করার ক্ষমতা নেই; তিনি (বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী) নাকি আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করেন, চিন্তা করেন। আমেরিকা যদি আমাদের পোশাক না নেয়; তাহলে আমাদের কী অবস্থা হবে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনা সরকারকে সরালেই সবাই মুক্ত হবে; সেই কাজটি আমাদের করতে হবে। সরকার আমাদের আন্দোলনকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে – এ ব্যাপারে আপনাদের সাবধান থাকতে হবে।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রের পর স্বৈরতন্ত্রও শেষ করে এখন মাস্তান তন্ত্র কায়েম করেছে।