হার্টে ব্যবহৃত রিংয়ের দাম কমছে

Slider সারাদেশ

হার্টের চিকিৎসায় ব্যবহৃত রিংয়ের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ)। আজ রোববার দুপুরে অধিদপ্তরে দুটি কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, জীবনরক্ষাকারী মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদন ও সরবরাহে দেশের শীর্ষ দুই প্রতিষ্ঠান অ্যাবোট ল্যাবরেটরিজ এবং বোস্টন সায়েন্টিফিল। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিটি রিংয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিজিডিএ। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে যা কার্যকর হবে।

বৈঠক শেষে ডিজিডিএ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘হার্টের রিংয়ের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী রিংয়ের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত কোনোভাবেই নেওয়া যাবে না।’

ডিজিডিএ মহাপরিচালক বলেন, ‘বোস্টনের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, তারা আমাদের প্রস্তাবের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত পরে জানাবেন। আমরা একই মূল্য ভারতেও বজায় রাখার প্রস্তাব দিয়েছি, তারা সম্মত হয়েছে।’

অ্যাবোট ল্যাবরেটরিজের উৎপাদিত রিংগুলোর একটি এক্সিয়েন্স প্রাইম। বাংলাদেশে সর্বাধিক ব্যবহৃত স্টেন্টগুলোর মধ্যে একটি। এর মূল্য ৫৬১ ডলার থেকে ৪২৫ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, বর্তমানে বাজারে রিংয়ের দাম ৬২ হাজার থেকে ৪৭ হাজারে হয়েছে। দাম কমেছে ১৫ হাজার টাকা। একইসঙ্গে সর্বোচ্চ মূল্য ৮৪ হাজার ৮০০ টাকা থেকে কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪ হাজার ৭৫৪ টাকা।

প্রসঙ্গত, প্রতিমাসে দেশের সরকারি ও বেসরকারিভাবে আড়াই থেকে তিন হাজার রিংয়ের প্রয়োজন হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে প্রতিটি রিংয়ের দাম ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বাড়ানো হয়। এতে করে ব্যয়বহুল এ রোগের চিকিৎসা মেটাতে গিয়ে চরম সংকটে পড়েন রোগীর ও তাদের স্বজনরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *