হেফাজতে নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগে যা বললেন ডিবির হারুন

Slider জাতীয়

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে আলাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে ডিবি দাবি করছে, সব নিয়ম মেনেই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন ডিএমপির ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ।

গত ৫ জুন রাতে রাজধানীর বাউনিয়ায় এক নারী খুন হন। এ ঘটনায় ৬ জুন নিহতের স্বামী আলাল উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি। ১০ জুন আলালকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গত ১৬ জুন সন্ধ্যায় তাকে জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। আলালের স্বজনদের অভিযোগ, ডিবি হেফাজতে নির্যাতনের কারণে আলাল মারাত্মক আহত হন এবং পরে মারা গেছেন।

সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমি ওই সময় ছিলাম না। যতটুকু জেনেছি, আইন-কানুন মেনেই, আদালতের অনুমোদন নিয়েই, তিনি যেহেতু অসুস্থ তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। আদালতই বলে থাকে অসুস্থকে চিকিৎসা দিতে। তেমনি আদালতের অনুমোদন নিয়েই তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।’

তিনি বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে তিনি ছয় দিন বা সাত দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তিনি বুকের ব্যথা অনুভব করেন। পরে তাকে হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তিনি মারা যান। তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

আলালকে কবে আদালতে তোলা হয়েছিল এবং কবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল— এ বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সে তথ্য তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে আছে। আপনারা নিয়ে নেবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *