আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম ১০৯ টাকায় উঠেছে। সবশেষ গত বুধবার আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার ১০৯ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ রেট। এর আগে যেটা ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সা ছিল। এক বছর আগে ছিল ৯২ টাকা ৮০ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডলার লেনদেন ব্যয় বাড়বে। ডলারের দাম বেশি হওয়ায় বাড়বে পণ্য আমদানি ব্যয়। স্বাভাবিকভাবেই পণ্য আমদানি ব্যয় বেড়ে গেলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
গত ৩১ মে রেমিট্যান্স-রপ্তানি আয়ে ফের ডলারের দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নেতারা। এর ফলে এখন প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে দাম পাবেন ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর রপ্তানিকারকরা রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১০৭ টাকা। এতদিন প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ছিল ১০৮ টাকা এবং রপ্তানি আয়ে ছিল ১০৬ টাকা। নতুন এ সিদ্ধান্ত ১ জুন থেকে কার্যকর করা হয়। গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে।
মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ অবস্থা তৈরি হয়। সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করত বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এতে সংকট কমার পরিবর্তে আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এর পর থেকে এ দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।