দেশে বিদ্যুৎ উদ্পাদনে ঘাটতি থাকায় গত সপ্তাহে ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক লোডশেডিং হয়েছে। এমন অবস্থার মধ্যে দেশে বিদ্যুতের নতুন জোগান নিয়ে ‘সুখবর’ দিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি জানালেন, নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আয়োজিত এক দ্বিপক্ষীয় সভায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সভায় বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ৭ সদস্যের দলের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও বিশ্বব্যাংকের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের পক্ষে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার নেতৃত্ব দেন।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আগামী দুই বছরের মধ্যে ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। এ উৎস থেকে আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে আরও ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাইপলাইনে রয়েছে। কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করায় প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চলে গেছে। কিন্তু ওই পরিমাণ অর্থ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আসছে না।
নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেপাল-ভুটান থেকে আরও জলবিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। ভারতের পাওয়ার মার্কেট থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি বিবেচনায় আছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক, কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার ক্রস বর্ডার ট্রেড, আঞ্চলিক পাওয়ার পুল, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক পাওয়ার মার্কেট, নেপাল ও ভুটান হতে বিদ্যুৎ আমদানি ও ই-মবিলিটি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় জ্বালানি খাতের বিদ্যমান ও আগত প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নূরুল আলম, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলাই শেক, অপারেশন ম্যানেজার দানদান চেন ও অপারেশন অ্যাডভাইজার গায়েল মার্টিন।