কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে বিদ্যমান আইনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছা করলে সব মন্ত্রী বাদ দিয়ে আরও ১০০ জনকে মন্ত্রী বানাতে পারেন। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র রুটিন ওয়ার্ক করবেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবেন। সরকারের সব কর্মকর্তারা ইসির অধীনে থাকবে।
আজ সোমবার দুপুরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তার টাঙ্গাইলের বাসভবন ‘সোনার বাংলা’য় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংবদ নির্বাচনে কোনো জোটে যাব কি না জানি না। তবে বিএনপির সঙ্গে কোনো নির্বাচনী জোটে যাব না।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি সব সময় গণমানুষের পক্ষে বা ন্যায়সঙ্গত কথা বলে থাকি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে পৃথিবীর কোথাও কোনো সরকার নেই, কিন্তু বাংলাদেশে হয়েছিল। এখন সংবিধানে নাই। এরশাদকে বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হয়েছিল। রাজনীতিতে আন্দোলনের মাধ্যমে বাধ্য করতে পারলে সেখানে সবই আইন আর না পারলে সবটাই বেআইনি।’
তিনি বলেন, ‘এখন দেখতে হবে বিএনপি যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে পারে তাহলে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার হতে পারে। আর না হলে আমার বোনের (প্রধানমন্ত্রী) অধীনেই নির্বাচন হবে- এর কোনো বিকল্প আপাতত নেই।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদসহ জেলায় কর্মকর্তা বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।