যাত্রী সঙ্কটে একের পর এক বাতিল হচ্ছে হজ ফ্লাইট

Slider সারাদেশ


হজযাত্রী সঙ্কটে ফ্লাইট বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গত ২১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরুর পর এ পর্যন্ত ১০টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে মদিনাগামী ফ্লাইট বাতিল হয়েছে বেশি। হজ এজেন্সিগুলো নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী টিকিট না কাটায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ পর্যন্ত কতটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে এবং ওইসব ফ্লাইটে কোন কোন এজেন্সি টিকিট বুকিং দিয়েছিল তা জানতে গত রোববার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ক্যাপাসিটি লস পূরণে বিমানকে পাঁচটি অতিরিক্ত ফ্লাইটের জন্য এবং সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সকেও সৌদি সিভিল এভিয়েশনের (জিএসিএ) কাছে আবেদন করতে বলেছে মন্ত্রণালয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ পালিত হবে। বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজ পালনে যাচ্ছেন। গত ২১ মে বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে। এর আগে হজযাত্রীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট সূচি প্রকাশ করেছে। সে অনুসারে হজ এজেন্সিগুলোও তাদের হজযাত্রীদের জন্য টিকিট সংগ্রহ করছেন। কিন্তু এরপরও যাত্রী সঙ্কটে বিমানের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যাত্রী না থাকায় বেশকিছু হজ ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে যেতে পারেনি। জানা যায়, এ পর্যন্ত ১০ ফ্লাইট বাতিল করেছে এয়ারলাইন্সগুলো। এতে শেষ দিকে হজযাত্রী পরিবহন নিয়ে সঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য মতে, গত ২৬ মে দু’টি, ২৮ মে একটি, ২৯ মে একটি, ৩১ মে দু’টি, ৩ জুন দু’টি এবং আজ ৬ জুনের দু’টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মদিনাগামী ফ্লাইট বাতিল হয়েছে বেশি। হজ এজেন্সিগুলো নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী টিকিট না কাটা এবং টিকিট বুকিং দিলেও ওই তারিখে হজযাত্রী না পাঠানোর কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য এ পর্যন্ত কতটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে এবং ওইসব ফ্লাইটে কোন কোন এজেন্সি টিকিট বুকিং দিয়েছিল তা জানতে গত রোববার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ক্যাপাসিটি লস পূরণে বিমানকে পাঁচটি অতিরিক্ত ফ্লাইটের জন্য এবং সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সকেও সৌদি সিভিল এভিয়েশনের (জিএসিএ) কাছে আবেদন করতে বলেছে মন্ত্রণালয়।

এজেন্সিগুলোর সাথে কথা বলে জানা যায়, বাড়ি ভাড়া ও টিকিট কাটার সাথে সময়ের সামঞ্জস্য না হওয়ার কারণেই সাধারণত বেশির ভাগ বিমান টিকিট কাটা নিয়ে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, নানা কারণে ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে। এ বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে বলতে পারবে। তবে এজেন্সিগুলোর বাড়ি ভাড়ার সাথে বিমানের সূচি অনুযায়ী না মেলার কারণেও যাত্রী সঙ্কট হচ্ছে। আমরা সংকট মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ কারণে এখনো অন্যান্য কার্যক্রম সঠিকভাবে চলছে। এ পর্যন্ত ৫৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন বলেও তিনি জানান।

ফ্লাইট সূচি অনুযায়ী আগামী ২২ জুন সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ছাড়বে। আর হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২ জুলাই। শেষ ফিরতি ফ্লাইট আসবে ২ আগস্ট।
এ দিকে এবার হজে সৌদি সরকার কোরবানির মূল্য ৭২০ সৌদি রিয়াল ধার্য করেছে বলে জানা গেছে। যদিও এর আগে বাংলাদেশ সরকার হজযাত্রীদের পশু কোরবানি বাবদ এক হাজার সৌদি রিয়াল সাথে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছিল। এ ছাড়া হজের জন্য সৌদি আরবে গিয়ে এখন পর্যন্ত চারজন বাংলাদেশী ইন্তেকাল করেছেন বলে জানা যায়। এর মধ্যে পুরুষ তিনজন এবং মহিলা একজন। এর মধ্যে সবাই মক্কায় ইন্তেকাল করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *