অভিনেতা শরিফুল রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনার পর আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন পরীমণি। এরই মধ্যে এক সংবাদ মাধ্যমের লাইভ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন রাজ। জানিয়েছেন, পরীর সঙ্গে আর সংসার করা সম্ভব নয়। তবে এখনও বিচ্ছেদ হয়নি তাদের।
তবে রাজের সব কথার জবাব দিতে আজ আবার সেই সংবাদমাধ্যমের লাইভে যুক্ত হবেন পরী। আর ততক্ষণ পর্যন্ত রাজকে সুস্থ-স্বাভাবিক মস্তিষ্কে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
এদিকে সোমবার সকালে রাজের লাইভের সেই ভিডিওটি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে পরী লেখেন, ‘শরিফুল রাজ, আপনি একটু সংযত হতেই পারতেন। সামনে বসে থাকা একজন নারী উপস্থাপক এতো ভদ্রতার সঙ্গে আপনাকে প্রশ্ন করছেন, কথা বলছেন, অথচ আপনি অসভ্য এবং উগ্রতার সঙ্গে তর্ক করার মতো করে কথা বলে যাচ্ছেন! আপনাদের বন্ধুদের একান্ত মুহূর্তের সেই সব বাজে, নোংড়া ভাষা আপনি সেটাও বলে ফেললেন! আবার “ফর এন এক্সাম্পল’’ বলে সামনে বসা নারীকে আপনার ওয়াইফ হিসেবে দাড় করে কিছু ব্যাখা দেয়া একজন নারীকে বিব্রত করতে পারে এটা বোঝেন না?’
সবশেষ তিনি লেখেন, ‘আপনার কালকের লাইভের সব কথার উত্তর আপনাকে আজ লাইভেই দেব। ততক্ষণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক মস্তিষ্কে থাকার চেষ্টা করবেন অব্যশই।’
গত ২৯ মে রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অভিনেত্রী তানজিন তিশা, চিত্রনায়িকা নাজিফা তুষি এবং সুনেরাহ বিনতে কামালের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি-ভিডিও ফাঁস হয়। আর এই ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় পরীমণি জড়িত বলে ইঙ্গিত দেন সুনেরাহ। এর পাল্টা জবাবে পরীমণিও জানান, রাজ তার সঙ্গে নেই বরং সুনেরাহর সঙ্গেই রয়েছেন। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সামনে আসে রাজ-পরীর দাম্পত্য সম্পর্ক। এ নিয়ে সপ্তাহ খানিক ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে এ বিষয়ে রাজ তার বক্তব্য গণমাধ্যমকে দিয়ে আসলেও নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পরী একের পর এক আক্রমণ করেই যাচ্ছেন।
গতকালও তিনি রাজকে উদ্দেশ্য করে বাজে ভাষায় একটি স্ট্যাটাস দেন। যেখানে তিনি লিখেছিলেন- ‘শরিফুল রাজ তুই একটা কুত্তার বাচ্চা। আমার বাচ্চার নাম মুখে আনবি না আর কোনো দিন। আজকেও মাঝ রাত্তিরে তোর মাতলামি মেনে নিয়ে বাচ্চাকে দেখাতে নিয়ে গেছিলাম তোর কাছে! আগে সুস্থ মানুষ হ জানোয়ার।’
এরপর পরীমণি আরও লেখেন, ‘এই জগতের লোকেদের অনেক কিছু দেখার বাকি আছে। আয় এবার কে কে আসবি।’
স্ট্যাটাসে আরও খানিকটা অংশ ছিল যা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের অযোগ্য। কিন্তু পরে সেই স্ট্যাটাস পরী ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেন।