টঙ্গী(গাজীপুর) প্রতিনিধি: প্রচারণা করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের বাঁধার মুখে পড়ে হামলার শিকার দেয়াল ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও তার ছেলেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় কমপক্ষে ১০জন আহত ও গাড়ি ভাঙচূরের ঘটনা ঘটে।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টঙ্গীর ৫৭ নং ওয়ার্ডের গরু
হাটা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম টঙ্গী এলাকায় প্রচারণা করতে যায়। প্রচারণা চলমান অবস্থায় ৫৭ নং ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট আজমত উল্লাহ খানের বাড়ির নিকটে গরুহাটা এলাকায় গেলে নৌকার মিছিল নিয়ে বেশ কিছু লোক টেবিল ঘড়ির প্রার্থী ও কর্মীদের ঘিরে ফেলে। প্রায় দেড় ঘন্টা টেবিল ঘড়িকে ঘিরে নৌকার লোকজন মিছিল করতে থাকে। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায়
কমপক্ষে ১০জন কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবী করেছে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের পক্ষ থেকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নৌকার মিছিল টেবিল ঘড়ির মিছিলকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেললে উত্তেজনা তৈরী হয়। এসময় গাড়ি ভাঙচূর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আতঙে দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ
ঘটনাস্থলে এসে জায়েদা খাতুন ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়ার পর জাহাঙ্গীর আলম তার মাকে নিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয় ও তাদের গাজীপুরে নিজ বাসায় পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষ থেকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন,, আওয়ামীলীগের কেউ কোন হামলা করেনি। এটা জাহাঙ্গীরের নাটক।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলামকে ফোন করেও তার বক্তব্য
পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত: দুই দিন আগে টঙ্গী এলাকায় টেবিল ঘড়ির উপর হামলা হয়। ওই ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা হয়। দুই দিনের মাথায় আজ শনিবার একই এলাকায় আবার
হামলার ঘটনা ঘটল।