রাজবাড়ীতে ১০ দফা দাবিতে বিএনপির জনসমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পৌর কাউন্সিলর ফারজানা ইয়াসমিন ডেইজি ও নুরুল ইসলামসহ কয়েকজনকে আটক করে।
হামলায় টেলিভিশনের রাজবাড়ী প্রতিনিধি কাজী তানভীর মাহমুদ ও গ্লোবাল টেলিভিশনের রাজবাড়ী প্রতিনিধি খন্দকার রবিউল ইসলাম মজনু আহত হন।
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় জেলা বিএনপির কার্যালয় প্রাঙ্গণে জনসমাবেশ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাসুকুর রহমান, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম।
এদিকে রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি আলী নৈওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম তার বাসা থেকে বের হতে গেলে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি করেন। এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে।
রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি আলী নৈওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের প্রস্তুতি নিলে হামলা করে সমাবেশে যেতে দেয়নি। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।’
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, ‘আজ আমার মনে দাগ লেগে গেল, আমার গাড়ির ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছে। তারা শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি ডেকে আনছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা শত বাঁধা পেরিয়ে সমাবেশ স্থলে এসেছে। আজ তারা সরকারকে দেখতে চায় না।’
এদিকে, সকাল ১০টা থেকে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু, যুবলীগের সভাপতি শওকত হাসান, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা চৈতির নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ ও অবস্থান করে। বিকেল ৩টায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
রাজবাড়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহ উদ্দিন ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।