গাজীপুর: ডিএমপির পুলিশ কর্মকর্তাকে মাথায় আঘাত করে মারধর করার মাধ্যমে মালামাল ছিনতাইয়ের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনের মামলায় আটক দুই আসামীর
রিমান্ড শুনানী অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলাবার।
সোমবfর(২৯ জুন) রাতে থানা ও আদালত সূত্রে ওই সংবাদ পাওয়া যায়।
এজাহার সূত্রে প্রকাশ, জনৈক নুর আলম শিকদার(৩১) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের(ডিএমপি) দাক্ষিন খান থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক(এসআই)। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার সদর থানার খুন্দিয়া(আমতলী) গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ রহিম শিকদার। গত ২৪ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিতে তিনি ও তার চাচাত ভাই রফিকুল ইসলাম মটরসাইকেল যোগে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুর শহর হয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় তিন সড়ক নাম স্থানে আড়ৎ দুধ ফ্যাক্টরীর সামনে একটি মাইক্রেবাস মটরসাইকেলের গতিরোধ করে। অতপর এসআই ও তার ভাইকে মারধর করে মোট ৩৩ হাাজার ৫’শ টাকা মোবাইল সেট ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আসামীরা ঘটনাার সময় এসআই এর মাথায় আঘাত করে।
এজাহারে বলা হয়, আহত অবস্থায় এলাকাবাসী এসআই নুর শিকদারকে গাজীপুরস্থ শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় জনতা শরিফুল
ইসলাম(৩১) ও মোঃ ওয়াহিদুল হক উরফে প্রীতম(২৬) কে আটক করে।
সংবাদ পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আটককৃতদের থানায় নিয়ে যায়। তাদের স্বীাকরোক্তিমূলে আটককৃতদের দখল থেকে টাকা ও মোবাইল সেট উদ্ধার
করে পুলিশ। ওই ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় ৫জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা হয়। মামলার বাদী এসআই নূর আলম শিকদার। মামলার অপর তিন আসামী হলেন রাজন মিয়া(২৬), নাসির উদ্দিন(২৮) ও মোঃ মোশাইদ(৩২)। অতঃপর ২৫ জুন জয়দেবপুর থানা পুলিশ দুই আসামীকে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে গাজীপুর আদালতে
পাঠায়।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আটক দুই আসামী বাংলাদেশ ধানগবেষনা ইনস্টিটিউটে(ব্রি) চাকুরী করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুন মঙ্গলবার দুই আসামীর রিমান্ড শুনানী অনুষ্ঠিত হবে।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী নুর আলম শিকদার জানান, তিনি ডিএমপির দাক্ষিন খান থানায় কর্মরত এসআই। গ্রামের বাড়িতে ফেরার সময় আক্রান্ত হন
তিনি।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রেজাউল হাসান জানান, অন্য আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। তবে দ্রুত বিচার আইনের মামলা ৭(সাত) দিনের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকায় রিমান্ড শুনানী মামলায় তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না।