সরকার দেশে মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করেছে বলে মনে করে গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের আরও এক ধাপ অবনমনের বিষয়টি উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ‘দেশে মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলে কিছু নেই। ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের এবারের অবস্থান ১৬৩তম। মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পাকিস্তান, এমনকি আফগানিস্তানেরও নিচে। এই সরকার দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ সকলবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় আগামী ১২ মে অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকারের পতন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনসহ ১৪ দফা দাবিতে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ ঘোষণা করা হয়। সভা থেকে পরবর্তী ২ মাসের জন্য বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিকে সমন্বয়ক দলের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম’র সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহম্মদ রাশেদ খাঁন, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির স্থায়ী কমিটির সদস্য মো: সিরাজ মিয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু ও যুগ্ন সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, গণ অধিকার পরিষদ এর যুগ্ন আহবায়ক আবু হানিফ ও আরিফ তালুকদার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এর প্রচার ও মিডিয়া সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন।