গত মাসে ভয়াবহ ভ্যাপসা গরমের পর আবহাওয়া কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। কয়েকদিন ধরেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই লঘুচাপের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাস অনেক তপ্ত থাকলেও মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে এক থেকে তিন দিন বজ্র, শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি থেকে প্রচণ্ড কালবৈশাখী এবং তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা থেকে মাঝারি কালবৈশাখী হতে পারে।
আবহাওয়ার মাসব্যাপী পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, এ মাসে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে একটি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি থাকতে পারে।
এপ্রিল মাসের অবস্থা তুলে ধরে পূর্বাভাসে বলা হয়, ওই মাসে ৪ থেকে ১২ তারিখ মৃদু থেকে মাঝারি, ১৩ থেকে ২২ তারিখ মাঝারি থেকে তীব্র এবং ২৪ থেকে ৩০ পর্যন্ত মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। ১৭ এপ্রিল পাবনার ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ মাসে ঢাকা বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়।
এদিকে বাংলাদেশে ‘মোচা’ নামের একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক এবং আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানালেও আবহাওয়া অফিস বলছে ভিন্ন কথা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’র বাংলাদেশে আঘাত হানার ব্যাপারে কোনো পূর্বাভাস দেয়নি। এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, ‘এই ঘূর্ণিঝড় (মোচা) তৈরিই হয়নি। বাংলাদেশে আসা না আসার প্রশ্ন আসবে কোথায় থেকে?’