হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল! কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষটিতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। যদিও ২-০ ব্যবধানে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছেন সাকিব আল হাসানরা। তবে এই ফরম্যাটে টানা ৫ ম্যাচ জয়ের পর হার দেখল বাংলাদেশ। এই সিরিজের আগে ঘরের মাঠে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩ ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল টইাগাররা।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বেলা ২টায় মাঠে নামে দুদল। তবে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উইকেটে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ অবশেষে শামীম হোসেনের অভিষেক হাফসেঞ্চুরিতে ১৯.২ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয়। তবে জবাবে ব্যাট করতে নেমে পল স্টার্লিংয়ের ঝড়ো ব্যাটে ৩ উইকেট হারিয়ে ও ৬ ওভার বাকি থাকতেই ১২৬ করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড।
১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৭ রানে উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ওপেনার রস অ্যাডায়ারকে ৭ রানে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। এরপর শরীফুল ইসলাম লোরকান টাকারকে (৪) ফেরান। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪২ বলে ৬৮ তুলে বিপদ হতে দেননি আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং ও হ্যারি টেক্টর। অবশেষে স্টার্লিং অভিষিক্ত লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে আউট হন। তিনি ৪১ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৭ রান করেন।
হ্যারি টেক্টর ১৪ ও কার্টিস ক্যাম্ফার ১৬ রানে অপরাজিত থেকে আয়ারল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ বোলার তাসকিন, শরীফুল ও রিশাদ একটি করে উইকেট নেন।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৫ রানে মার্ক অ্যাডায়ারের বল তুলে মেরে জর্জ ডকরেলের ক্যাচ হন লিটন দাস। পরের ওভারে হ্যারি টেক্টরের শিকার হন ৪ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত। আর চতুর্থ ওভারে রনি তালুকদার কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে ব্যক্তিগত ১৪ রানে ফেরেন।
সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়রাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অধিনায়ক সাকিব অ্যাডায়ারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৬ রানে ফেলেন। আর বেন হোয়াইটের বলে ব্যক্তিগত ১২ রানে মাঠ ছাড়েন হৃদয়।
আইরিশ অভিষিক্ত স্পিনার ম্যাথু হামফ্রেজ নিজের প্রথম ওভারে এসেই বাজিমাত করেন। প্রথম বলে তিনি বাংলাদেশের অভিষিক্ত রিশাদ হোসেনকে ৮ রানে বোল্ড করেন। আর তৃতীয় বলে তাসকিন তুলে মেরে ক্যাচ আউট হন। ৬১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
অষ্টম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশকে কিছুটা টেনে তোলেন শামীম হোসেন ও নাসুম আহমেদ। তারা ৩৪ বলে ৩৩ রান তোলেন। পরে নাসুম গ্যারেথ ডেলানির বলে ১৩ রান করে আউট হন। আর শরীফুলকে ৫ রানে তৃতীয় শিকার বানান অ্যাডায়ার।
অন্যদের ব্যর্থতার দিনে বুক চিতিয়ে লড়েছেন শামীম হোসেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অভিষেক হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। অবশেষে ৪২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রানে ফিওন হ্যান্ডের বলে শেষ ওভারে আউট হন এই বাঁহাতি।
আইরিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান অ্যাডায়ার। ২টি উইকেট নেন ম্যাথু হামফ্রেজ।