সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮ বাংলাদেশি নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৬ বাংলাদেশি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এসব তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল আসির প্রদেশের আভা জেলায় স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৪টার (বাংলাদেশ সময় সোমবার সন্ধ্যা ৭টা) দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসে মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন ৩৫ জন।
নিহত ১৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়। তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালা মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া, গাজীপুর জেলার টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে ইমাম হোসাইন রনি, যশোর সদরের কাউসার মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মোহাম্মদ আসিফ, শাফাতুল ইসলাম, রামু উপজেলার কাদের হোসাইনের ছেলে মো. হোসাইন, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শাহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া ও দেবিদ্বার উপজেলার হামিদ মিয়ার ছেলে গিয়াস।
এ ছাড়া লক্ষীপুরের সবুজ হোসাইন, নোয়াখালী জেলার হেলাল উদ্দিন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এদিকে নিহত সাতজনের নাম পাওয়া গেছেও তাদের অন্য পরিচয় জানাতে পারেনি মন্ত্রণালয়। তারা হলেন- খাইরুল ইসলাম, রাসেল মোল্লা, রুহুল আমিন, তুষার মজুমদার, মিরাজ হোসাইন, সাকিব ও রানা মিয়া।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন আল আখবারিয়া জানিয়েছে, ওমরাহযাত্রীদের বাসটি খামিস মুশাইত শহর থেকে রওনা হয়ে মক্কায় যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আসির প্রদেশের আকাবা শার সড়কে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
একটি সেতুর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাহাড়ি দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং আগুন ধরে যায়। বাসটির ব্রেকে সমস্যা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে সৌদি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। দুর্ঘটনায় বাংলাদেশিসহ ২৪ জন ওমরাহযাত্রী নিহত হয়েছেন।