আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ১০ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এটি টাইগারদের ওয়ানডে ইতিহাসে উইকেটের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। এর আগে বাংলাদেশ ৫টি ম্যাচে ৯ উইকেটে জয় পেয়েছিল। বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে সিরিজও ঘরে তুলল। দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নামে দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা আইরিশদের ২৮.১ ওভারে মাত্র ১০১ রানে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৫ উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ। তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেনও দারুণ বোলিং করেছেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ও ১৩.১ ওভারেই ১০২ রান করে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
১০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মক খেলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। আইরিশ বোলারদের হতাশ করে একের পর এক বাউন্ডারি তুলে নেন তারা। ওয়ানডের নবম হাফসেঞ্চুরি করা লিটন ৩৮ বলে ১০টি চারে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যপ্রান্তে ৪১ বলে ৫টি চার ও ২টি চক্কায় ৪১ রানেই অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ড শুরু থেকেই বাংলাদেশ পেসারদের তোপে পড়ে। সফরকারীদের দুই ওপেনার স্টেফেন ডোহেনি (৮) ও পল স্টার্লিংকে (৭) ফেরান হাসান মাহমুদ। পরে চারে নামা হ্যারি টেক্টরকে শূন্য রানে বিদায় করেন হাসান।
এরপর অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নিকে ব্যক্তিগত ৬ রানে ফেরান তাসকিন আহমেদ। এবাদত হোসেন নিজের এক ওভারে জোড়া আঘাত করেন। আইরিশদের হয়ে ২৮ রান করা লরকান টাকারকে আউট করা পর শূন্য রানে জর্জ ডকরেলকে বোল্ড করেন।
তাসকিন নিজের পরের স্পেলে এসে এক ওভারে জোড়া উইকেট দখল করেন। অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনিকে নাসুমের ক্যাচে ফেরানোর পর মার্ক অ্যাডায়ারকে বোল্ড করেন তাসকিন।
সফরকারীদের শেষ দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেটের দেখা পান হাসান। তিনি আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফারকে তাসকিনের ক্যাচে ফেরানোর পর গ্রাহাম হিউমকে এলবি করেন।
এ ম্যাচে বাংলাদেশের পেসাররাই সব উইকেটে পেলেন। হাসান ৮.১ ওভারে ৩২ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন। ৩টি উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। আর দুটি উইকেট দখল করেন এবাদত হোসেন।