বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আজকে সারাদেশে একটাই মাত্র সঙ্কট, সেটা হচ্ছে এই সরকার। এই সঙ্কট থেকে উত্তরণ করতে হলে সরকারকে বিদায় করতে হবে। এটা জনগণের দাবি, বিএনপি’র নয়।
সোমবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘মৃত্যুকূপে ধাবমান বাংলাদেশ- দুই’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফবলেন, এ দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করে একটি গণঅভ্যুত্থান ছাড়া এ ধরনের স্বৈরাচার সরকারকে সরানো যাবে না। এই দেশ থেকে আইয়ুব খানকে বিতাড়িত করেছি, এরশাদকে বিতাড়িত করেছি; ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে। আমি মনে করি, সময় বেশি নেই। ইনশা আল্লাহ এদেশের জনগণই রাস্তায় নামবে। সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তিনি বলেন, আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল বিচারবিভাগ। সেই বিচার বিভাগকে কিভাবে তারা (আওয়ামী লীগ) করায়ত্ত করেছে, দলীয়করণ করেছে, ধ্বংস করে দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিচারের রায় দেখে আমরা বুঝতে পারি। এ সকল কিছু জনগণ জানে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে গণতন্ত্র দিয়েছেন। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এরশাদদের স্বৈরাচার সরকারকে পতন ঘটিয়ে এদেশের গণতন্ত্র দিয়েছে। আমাদেরই দায়িত্ব গণতন্ত্র উদ্ধার করা। তারা গণতন্ত্র হত্যা করে, তারা তো কোনোদিন গণতন্ত্র উদ্ধার করতে পারবে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে, জনগণের কথা চিন্তা করে, আপনারা ত্যাগ স্বীকার করছেন। তাই আহ্বান জানাব, আজকের দিনে এই জগদ্দল ফ্যাসিস্ট সরকারকে যেন সরাতে পারি সেই লক্ষ্যে আপনারা অবদান রাখবেন।
আয়োজক সংগঠন জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো: আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জিয়া পরিষদের প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক ই্য়ারুল কবির, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আলম, ডা. মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট দেওয়ান মাহফুজুর রহমান ফরহাদ, ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপক আক্তার হোসেন, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য রাখেন।
এসময় জেড খান রিয়াজ উদ্দীন নসু, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।