নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লায় একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণে দগ্ধ কুলসুম আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূ বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের পাঁচতলায় অস্ত্রোপচার কক্ষে কুলসুম আক্তারের সিজার সম্পন্ন হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের শিশু বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, ‘কুলসুম ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তবে শিশুটি আনমেচিউরড, দেড় কেজি ওজন হয়েছে এবং কিছুটা শ্বাসকষ্ট আছে। শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।’
কুলসুমের স্বামী মাসুদ পাটোয়ারী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয় কুলসুমকে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে জানানো হয় ছেলে বাচ্চা হয়েছে। মা ও শিশু দুজনই ভালো আছে।
তিনি বলেন, ‘এ রকম বিপদের সম্মুখীন কখনো হয়নি। আমার মাথায় কিছুই কাজ করছে না।’
বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকেরা রোববার রাতেই গাইনী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখন থেকেই কুলসুমকে অবজারভেশনে রেখেছিলেন বলেও জানান মাসুদ।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরে একটি ১০ তলা ভবনের ছয় তলার ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণে কুলসুম আক্তার (২৫) ও তার তিন বছর বয়সী ছেলে খালিদ দগ্ধ হন। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে খন্দকার ম্যানশনে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।