নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১১

Slider রাজনীতি


চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা) ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিদ্রোহী’ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক স্কুলছাত্রীসহ তিনজন ও নৌকা প্রার্থীর আটজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (১১ মার্চ) রাত ৮ থেকে শুরু হয়ে দফায় দফায় রাত ১১টা পর্যন্ত নাগদহ ইউনিয়নের জহুরুলনগর ও বলিয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মীরা হলেন, নাগদহ ইউনিয়নের জহুরুলনগর ক্লাব পাড়ার মৃত আফতাব মণ্ডলের ছেলে খবির উদ্দিন (৫৫) তার দুই ভাই আনিছুর রহমান (৪৫) ও দবির উদ্দিন (৪০) এবং একই এলাকার ইসমাইল লস্করের ছেলে মিয়াজান আলী (৩৫), মৃত ছানার উদ্দিনের ছেলে আকরাম হোসেন (৩৬), বলিয়ারপুর গ্রামের মৃত শাজাহান আলী মণ্ডলের ছেলে আব্দুস সেলিম (৪৬), একই এলাকার মৃত শামসুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে বাবলুর রহমান (৫০) ও মোতালেব মণ্ডলের ছেলে কেসমত আলী (৪০)।

চশমা প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে আহত ব্যক্তিরা হলেন, বলিয়ারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত ইছাহাক আলী মণ্ডলের ছেলে ইসরাইল হোসেন বুদো (৪০) তার ছেলে মামুনুর রশিদ (২৪) এবং মেয়ে নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা আক্তার মাইশা (১৫)। আহতদের মধ্যে দবির উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

নৌকার প্রার্থী হায়াত আলী জানান, শনিবার রাতে আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিল করছিলাম। এ সময় চশমার প্রার্থীর কর্মীদের সঙ্গে আমাদের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা আমাদের কর্মীদের লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে, আমাদের আটজন কর্মী আহত হন।

চশমা প্রতীকের প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ারদার বিপুল জানান, শনিবার রাতে নৌকার কর্মীরা আমার অফিস ভাঙচুর করে। পরে তারা নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে, আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে। শুধু তাইনা, নৌকার কর্মীরা আমার কর্মী ইসরাইস হোসেন বুদোর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার বাড়ি ভাঙচুর করে এবং বুদো ও তার ছেলে-মেয়েকে পিটিয়ে আহত করেন।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। চশমার অফিস ও তার কয়েকটা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *