বৈরি আবহাওয়ায় ভারতে আখের ফলন কমেছে। ফলে দেশটির শিল্প-কারখানায় চিনির উৎপাদন কমার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তাই অভ্যন্তরীণ ঘাটতি এড়াতে আর খাদ্যপণ্যটি রপ্তানির অনুমতি দেবে না তারা।
ব্যবসাভিত্তিক ভারতীয় প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে দেশের প্রধান উৎপাদনকারী অঞ্চলের আখ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে সরকার। এরপরই আর চিনি রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে নিজেদের নাম প্রকাশ করেননি তারা। কারণ, এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের এখতিয়ার তাদের নেই।
ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমে ৬ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। অর্থাৎ এর বেশি খাদ্যপণ্যটি চালান করবে না তারা।
আগে থেকেই এই আশঙ্কা ছিল। অবশেষে তাই বাস্তবে রূপ পেলো। এই খবরে এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে চিনির দাম বেড়ে গেছে। ২০১৬ সালের পর যা সর্বোচ্চ। এতে পেস্ট্রি, মিছরি এবং কোমল পানীয় তৈরির খরচ বেড়ে গেছে। ফলে আরও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী দেশ ভারত। এর পরে রয়েছে ব্রাজিল ও থাইল্যান্ড। সেসব দেশেও খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
ভারতে সবচেয়ে বেশি আখ উৎপন্ন হয় মহারাষ্ট্রে। চলতি মৌসুমে সেখানে ফসলটির উৎপাদন কমেছে। রাজ্যের আখ কমিশনার শেখর গায়কোয়াড় বলেন, অসময়ে বৃষ্টিপাতে আখের উৎপাদন ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে।