প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ডাল খাওয়া উচিত

Slider জাতীয়

কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৪৫ গ্রাম ডাল খাওয়া উচিত। সেখানে আমাদের দেশের মানুষ মাথাপিছু মাত্র ১৭ গ্রাম ডাল খান। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন প্রাপ্ত বয়স্করা প্রয়োজনের মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ ডাল খায়।’

আজ শুক্রবার ‘বিশ্ব ডাল দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে এ কথা বলেন কৃষি সচিব। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশে বর্তমানে ডালের চাহিদা প্রায় ২৬ লাখ টন। সেখানে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১০ লাখ টন। বাকি চাহিদা পূরণে প্রতি বছর বিদেশ থেকে প্রায় ১৩-১৪ লাখ টন বিভিন্ন ডাল আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৬-৭ হাজার কোটি টাকা।

তারা বলেন, দেশের ক্রমাগতভাবে আবাদি জমির পরিমাণ হ্রাস এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য উচ্চ ফলনশীল জাতের ডাল ফসল উদ্ভাবন, এদের সম্প্রসারণ ও ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন।

এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ডাল বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় অনেক আধুনিক উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন শস্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ডাল ফসলের উৎপাদন এলাকা কিছুটা কমে গেলেও আধুনিক উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবিত হওয়ায় হেক্টর প্রতি ফলন অনেক বেড়েছে।

কিন্তু ধানভিত্তিক আমাদের এই শস্য বিন্যাসে ডাল ফসলের আবাদ সম্প্রসারিত করার সুযোগ সীমিত করেছে। তবে বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চল, চরাঞ্চল, পাহাড়ি অঞ্চল, উপকূলীয় অঞ্চল, রেল সড়ক ও রাস্তার ধারে এবং বসত বাড়িতে উপযুক্ততা বিবেচনায় ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

এছাড়াও আমরা বিভিন্ন মাঠশস্য ও ফল বাগানে (কুল, কলা, পেয়ারা, মাল্টা, আম, লিচু ইত্যাদি) ডাল ফসলকে মিশ্র ফসল ও আন্তঃফসল হিসেবে চাষের মাধ্যমে ডালের উৎপাদন বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। উচ্চফলনশীল জাত ও আধুনিক উৎপাদন কৌশল ব্যবহার করে উল্লেখিত অঞ্চলে কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ করতে পারলে ডালের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *