জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে ভুল ও ইসলাম বিরোধী শিক্ষা সংযোজন এবং ইসলামী শিক্ষা সংকোচন করার অপরাধে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী।
তিনি বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলাম বিরোধী পাঠ্যপুস্তক চলতে পারে না। বর্তমান পাঠ্যপুস্তক বাজেয়াপ্ত করে সংশোধিত নতুন পাঠ্যপুস্তক ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে দিতে হবে। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলিস্তান পার্কে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জাতীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে ১০ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দেশব্যাপী ও ঢাকার বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ এবং ১১ মার্চ ঢাকায় জাতীয় উলামা সম্মেলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।
সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল আজীজ ও সংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালীর যৌথ পরিচালনায় বক্তৃতা করেন, সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অভিভাবক পরিষদের চেয়ারম্যান আল্লামা রফিকুল ইসলাম, সদস্য আল্লামা আবুল কালাম, নায়েবে আমির মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মুফতী সাঈদ নূর, যুগ্ম-মহাসিচব মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা প্রমুখ।
ইসমাঈল নূরপুরী বলেন, আমাদের সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাওলানা মঈনুল ইসলামসহ শীর্ষ কয়েকজন আলেম প্রায় ২২ মাস ধরে কারাগারে বন্দী রয়েছেন। একজন দাগী আসামির মতো হাতে হ্যান্ডকাপ, মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেটপ্রুপ জ্যাকেট পরিয়ে কোমরে রশি বেঁধে আলেম-উলামাদের আদালতে আনা-নেয়া করা হয়। এটা সম্পূর্ণ জুলুম ও অন্যায়। সরকারের এ আচরণে দেশের মানুষ ক্ষুদ্ধ। আলেমদের সাথে এ ধরনের আচরণ সরকারের ক্ষতি ঢেকে আনবে। অবিলম্বে মাওলানা মামুনুল হকসহ গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশে উত্থাপিত ১০ দফা দাবি হলো- আল্লাহ, রাসূল সা: ও ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান জাতীয় সংসদে পাস করতে হবে, কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা ও তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে, কারাবন্দী মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেম-উলামাদের দ্রুত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, ইসলাম বিরোধী ও বিবর্তনবাদসহ বিতর্কিত শিক্ষাযুক্ত পাঠ্যপুস্তক বাজেয়াপ্ত করে সংশোধিত নতুন পাঠ্যপুস্তক ছাপাতে হবে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও সব দলের অংশগ্রহণের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমাতে হবে, শিক্ষার সব স্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে, সকল রাজনৈতিক দলের নির্বিঘ্নে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দিতে হবে।