তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর আন্তর্জাতিকভাবে সাহায্য জোরদার করা হচ্ছে। সেখানে এ পর্যন্ত ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানা যায়। এরই মধ্যে ভূমিকম্পের কারণে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া ভুক্তভোগীরা বাঁচতে চেয়ে অডিও বার্তা, ভিডিও ও লাইভ লোকেশন পাঠাচ্ছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের কয়েক হাজার বিল্ডিং ধ্বসে গেছে। এই ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ে অনেকে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন অনলাইনে।
তুর্কির এক সাংবাদিক জানান, এখনো অনেকে ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাকে ও তার সহকর্মীদের ভিডিও, অডিও বার্তা ও লাইভ লোকেশন শেয়ার করে সাহায্য চাইছেন ভুক্তভোগীরা।
গতকাল সোমবার ভোরে মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। তখনই তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। পরে দুপুরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪১৯ জন জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ২০ হাজার ৪২৬ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভূমিকম্পে তুরস্কে ১১ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে হতাহতদের উদ্ধারে ২৫ হাজার কর্মী কাজ করছে।
সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০২ জনে। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, দেশটিতে ৩ হাজার ৫৪৮ জন আহত হয়েছে।
৮৪ বছরের মধ্যে তুরস্ক এত শক্তিশালী ভূমিকম্প দেখেনি। সবশেষ ১৯৩৯ সালে উত্তর-পূর্ব তুরস্কে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া ১৯৯৯ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইজমীতে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।