চলতি মওসুমে আটজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার শতকরা ৭০ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এই তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কাঁচা রস, পাখি খাওয়া ফল খেলে এই রোগ হয়। বাদুড় এই ভাইরাস বহন করে। বাদুড় খেজুরের রস পান করলে সেটি মানুষ পান করলেও হয়। অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে এলে দ্রুত ছড়ায়। তখন মাল্টিপল সংক্রমণ হয়।
জাহিদ মালেক বলেন, এই ভাইরাস থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা টিভিসি তৈরি করেছি। সংক্রমণ ব্যধি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট করে চিকিৎসা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, দেশের একেক বেসরকারি হাসপাতাল ও অন্যান্য সেবা খাতের একেক রকমের চার্জ, টেস্ট ফিস সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য প্রাইভেট স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সরকারিভাবে একটি গাইডলাইন তৈরি করে হাসপাতালগুলোর মান অনুযায়ী ক্যাটাগরি তৈরি করে দিয়ে সেই ক্যাটাগরি মান অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে।
হাসপাতালগুলো মান ভেদে এবং সুযোগ-সুবিধা উল্লেখসহ সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট ফি নির্ধারণ করা থাকবে। এতে মানুষ আগে থেকেই জানতে পারবে কোন হাসপাতালে গেলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে এবং চিকিৎসা বাবদ কতো ব্যয় হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সেবার মান বাড়াতে চাই। আমাদের হাসপাতালের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আমাদের মোট বেসরকারি হাসপাতাল আছে ১৩ হাজার ৭২৬টি। সেগুলোর মধ্যে হাসপাতাল চার হাজার ৫২৮টি এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে প্রায় নয় হাজারের মতো। আর বেসরকারি ব্লাড ব্যাংক আছে ১৭৭টি। আমাদের উপজেলা থেকে জেলা পর্যন্ত হাসপাতালে যন্ত্রপাতি আছে। তবে জনবলের কিছু ঘাটতি আছে। জনবল বৃদ্ধির প্রচেষ্টা আমরা করছি।