রোববার ভোরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত আরজিনা এলাইচ লিজা (৩০) টাঙ্গাইলের গোপালগঞ্জ থানার আলমনগর এলাকার মো: মাসুদ রানার স্ত্রী। তিনি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গোপালগঞ্জ থানার আলমনগর এলাকার শুপু মিয়ার ছেলে মো: মাসুদ রানার সাথে একই থানার আনছার আলীর মেয়ে লিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ীর বাইমাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে মাসুদ রং মিস্ত্রী ও লিজা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তবে অভিযুক্ত মাসুদ প্রায়ই কোনো কাজ-কর্ম করতেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এরই জেরে রোববার ভোরে ধারালো চাকু দিয়ে লিজার গলাকেটে তার স্বামী মাসুদ পালিয়ে যান।
তারা আরো জানান, এ সময় ওই ভাড়া বাসার অন্যান্য লোকজন লিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লিজাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, সিআইডি ও পিবিআই-এর উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মাসুদ রানা পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।