শীতেও বাড়ছে মাছ-সবজির দাম

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি


শীতের সময়ে সবজির মেলা হলেও এ সময়ে বাড়ছে সবজির দাম। সব সবজিই এখন গত সপ্তাহের তুলনায় ৫-১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেড়েছে সব মাছের দাম।

মাছ বিক্রেতারা বলছেন, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই দামে পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে মাছ সরবরাহ কম হচ্ছে, ফলে মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাজারে সরু চালেন দামও বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন টাকা বাড়তি দামে। আমন মৌসুমেও বাজারে চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। শুধু মোটা চালের দাম সামান্য কমেছিল। তবে কয়েক দিনের ব্যবধানে সরু চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

মালিবাগ বাজারের চাল ব্যবসায়ী হালিম চৌধুরী বলেন, আমন মৌসুমের চাল বেশির ভাগই মোটা হয়। এজন্য এ সময়ে মোটা চালের দাম না বাড়লেও সরু চালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।

বাজার ও মান ভেদে সরু মিনিকেট চাল ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের নাজিরশাইল চালের কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা।

সবজির সরবরাহে ঘাটতির কথা বলে বাড়ানো হচ্ছে সবজির দাম। শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা ইউনুস হোসেন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। বেশি দামে কেনা বলে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যদিও শেষ কয়েক সপ্তাহ সবজির দাম অনেক কম ছিল।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবারের বাজারে কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, পাবদা ৪৫০ টাকা, মলা ৩৬০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাশ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, বোয়াল ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, টেংরা ছোটগুলো ৫০০ আর বড় ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ এবং গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে শীত আর ইজতেমার অজুহাতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। বাজারে প্রতি পিস ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৩০ টাকা। একইভাবে বাঁধাকপিও প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, ব্রুকলি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৩০, খিরা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ফুলকা প্রতি আটি ১৫-২০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মৌসুম না হওয়ায় বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় আর পটল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী বলেন, গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীত ও কুয়াশার কারণে কৃষকরা ফসল তুলতে পারছেন না। যে কারণে সরবরাহ কমেছে। তবে শীত কিছুটা কমলে আগের মতো প্রচুর সবজি সরবরাহ হবে। তখন দাম কিছুটা কমে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *