চাকরি হবে ১২ হাজার প্রকৌশলীর 

Slider তথ্যপ্রযুক্তি

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক বলেছেন, আমাদের মেট্রোরেলের কারণে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আমরা দেখেছি ডিএমটিসিএলের আওতায় ১২ হাজার প্রকৌশলী ও মাঠ-প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) স্বপ্নের মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধনের পর উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনের পাশে আয়োজিত সুধি-সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিঙ্ক ইন্ড্রাস্ট্রিগুলো থেকে চারগুণ বাংলাদেশির চাকরির সুযোগ হবে। আমরা মেট্রোরেল ট্রেনিং সেন্টার করেছি। এটা বিশ্বের সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে কাজ করবে। এখানে যারা প্রশিক্ষণ নেবেন তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে মেট্রোরেল আছে সেখানে দক্ষ জনবল হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। আমরা সে ধরনের জনবল সরবরাহ করতে পারব। এতে আমাদের বিদেশি রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

এমআরটি লাইনে ঘণ্টায় প্রতিদিন ৬০ হাজার এবং প্রতিদিন পাঁচ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে— উল্লেখ করে ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এটা বৈদ্যুতিক ট্রেন। এখানে জীবাশ্ম বা তরল জ্বালানি ব্যবহার করা হবে না। কাজেই পরিবেশে এটা বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। বরং পরিবেশ উন্নয়নে সহায়তা করবে। কারণ, মেট্রোরেল যখন চলাচল করবে তখন ছোট ছোট গাড়ি ক্রমান্বয়ে কমে যাবে। এর মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানি বার্ন হয়ে পরিবেশকে যে দূষণ করছিল সেখান থেকেও আমরা পরিত্রাণ পাব।

‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমাদের যে মেট্রোরেল হবে সেটা যেন বিশ্বের ভেতরে সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। আমাদের যারা বিদেশে কর্মরত আছেন তারা দেশে এসে যেন মেট্রোরেলে চড়ে দেখেন এটা আরও উন্নত। আমাদের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এখানে।’

করোনার সময়ও মেট্রোরেলের কাজ বন্ধ হয়নি— উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা কোভিড প্রটোকল মেনেই কাজ করেছি। বিদেশি যারা এখানে কাজ করেন তাদের জন্য আমরা হাসপাতাল করেছিলাম। যে কারণে আজ নির্ধারিত সময়ের আগেই মেট্রোরেল উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে আয়োজিত সুধি-সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলক উন্মোচন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তমোহিদে, জাপান রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

আজ (বুধবার) উদ্বোধন হলেও ‘স্বপ্নের বাহনে’ চড়তে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হবে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। বুধবার উদ্বোধন হচ্ছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের, যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। উদ্বোধনের পর রুটের মধ্যবর্তী স্টেশনে কোনো স্টপেজ ছাড়াই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *