মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে শেষ হওয়া ২১টি ভোটকেন্দ্রের ফলে এগিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২১টি কেন্দের ফলে লাঙল ১২ হাজার ৬১২ ভোট, হাতি ৫ হাজার ১০৯ ভোট এবং নৌকা ৩ হাজার ৯৮৬ ভোট পেয়েছেন।
এবারের রসিক নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করলেও বিএনপি মেয়র পদে কোনো প্রার্থী দেয়নি। পাশাপাশি কোনো প্রার্থীকে সমর্থনও দেয়নি দলটি। এ নির্বাচনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ২৬০ জন। মেয়র পদে ৯ জন ও কাউন্সিল পদে রয়েছেন ১৮৩ জন। এ ছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে আছেন, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের পঞ্চম তলায় কন্ট্রোল রুমে সকাল ৮টা থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে রংপুর সিটি নির্বাচন মনিটরিং করা হয়। সকাল থেকেই নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।
রংপুর সিটি করপোরেশনে মোট ৩৩টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২২৯টি। ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৪৯টি। এবারের নির্বাচনে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
ভোটগ্রহণ মোট ১ হাজার ৮০৭টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।