সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে লিফলেট বিতরণের সময় পানি বিশেষজ্ঞ প্রবীণ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হককে মারধর করা হয়। গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির পরিচয় প্রথমে জানা যায়নি। ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে প্রবীণ প্রকৌশলীকে মারধরকারী সেই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বানি আমিন। তিনি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে সবার ছোট বানি আমিন। বাবার জমিজমা দেখাশোনা করে তিনি নিজের সংসার চালান। এলাকায় তেমন কারও সঙ্গে মিশতেন না বানি আমিন। ২০০২ সালে তার নামে একটি রাজনৈতিক হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে মামলা থেকে অব্যহতি পান তিনি।
বানি আমিন জানান, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে কৃষক লীগের পক্ষ থেকে তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে এক প্রবীণ ব্যক্তি আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছিলেন দেখে রাগে তাকে লাঞ্ছিত করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি এখন লজ্জিত।
বানি আমিনের বড় ভাই হাজী রেজাউল হক বলেন, ‘আমার ছোট ভাই ঢাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গিয়েছিল। সেখানে কী হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে কাউকে লাঞ্ছিত কিংবা মারধর করে থাকলে সে অন্যায় করেছে।’
মেহেরপুর জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন জানান, বানি আমিন কৃষক লীগ করার আগে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। চলতি বছর কৃষক লীগের কাউন্সিলে তিনি কাজিপুর ইউনিয়ন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, বানি আমিনের নামে বর্তমানে গাংনী থানায় কোনো মামলা নেই। তবে ইতোপূর্বে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তিনি। সেই মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে নিজ দলের পক্ষে প্রচারপত্র বিতরণ করতে গিয়ে বানি আমিনের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন প্রবীণ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক। মারধরের ওই ঘটনাটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।