ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর স্বস্তি ফিরে এসেছে বিএনপিতে।
শুক্রবার (০৫ জুন) ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকের কথা জানান। এদিন বিকেল নাগাদ এ সংবাদ বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর স্বস্তি ফিরে আসে বিএনপিতে।
এদিকে বিএনপির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে আগামী রোববার (০৭ জুন) বিকেল ৪টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন খালেদা জিয়া।
মোদি-খালেদার এ বৈঠকের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়েরুল কবির খান বলেন, বৈঠকের তারিখ ও স্থান ঠিক হয়েছে। সময় এখনো ঠিক হয়নি। তবে খুব সম্ভবত ৭ জুন বিকেল ৪টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ বৈঠক হবে।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর বিএনপির কূটনৈতিক কোরের সদস্যদের মধ্যে এক ধরনের উৎফুল্লভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
খাদের কিনারে থাকা দলটির কূটনৈতিক কোরের অন্যতম সদস্য বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে একটি ক্রুসিয়াল সময় চলছে। এ সময়ে মোদি সাহেব বাংলাদেশে আসছেন। তার সঙ্গে ম্যাডামের দেখা হবে না, ভাবলেন কী করে?
খালেদা-মোদি বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাইলে শুক্রবার রাত ১০টায় সাবিহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ভারতের ফরেন সেক্রেটারি (পররাষ্ট্র সচিব) কী বলেছেন, শোনেননি? এরপর আবার আমাদের কাছ থেকে নতুন করে কী জানতে চান?
বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেসব কথা আপনাকে আগাম কেন বলব?
সূত্র জানায়, অনেক দেন-দরবার, আন্তর্জাতিক লবিং ও চেষ্টা তদবিরের মাধ্যমে মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও তার কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করছেন না খালেদা জিয়া। স্বল্প সময়ের এ সৌজন্য সাক্ষাৎ কুশলাদি বিনিময়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
শনিবার (০৬ মে) সকাল ১০টার দিকে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন নরেন্দ্র মোদি। ৩৬ ঘণ্টার এ সফরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আসছেন প্রায় ৮০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
তবে এদের মধ্যে কোনো মন্ত্রী নেই। থাকছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্কর।
মোদির এ সফরে যোগাযোগ, নিরাপত্তা, বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে বলে জানা গেছে।