স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভা শুরু হয়েছে। আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এই জনসভা। সভামঞ্চে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত আছেন।
জনসভার শুরুতে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বেলা ১১টা থেকে মঞ্চে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঞ্চে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেছেন স্থানীয় এবং ঢাকা থেকে আসা শিল্পীবৃন্দ।
আজকের জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ১১ বছর পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভায় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।
চট্টগ্রাম নগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করছেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। জনসভা সঞ্চালনা করছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
এদিকে জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত পোস্টার-ব্যানার হাতে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলা থেকে বাস ও ট্রাকযোগে লোকজন আসতে শুরু করে। এ সময় এক এক এলাকার কর্মীদের এক এক রঙের টি-শার্ট পরে আসতে দেওয়া যায়; এর মধ্যে লাল রঙের টি-শার্টে পটিয়া, কমলা রঙের টি-শার্টে সন্দ্বীপ, গোলাপি রঙের টি-শার্টে রাউজান। এমনকি ছাত্রলীগ ও যুবলীগ প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন রঙের পোশাক পরে আসেন জনসভায়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) পৌঁছান। ওই সময় সেনাবাহিনীর প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদসহ বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
বিএমএতে ৮৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে দুপুরে পলোগ্রাউন্ড ময়দানে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। বিকেল ৩টার দিকে জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে তার। কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সরকারপ্রধান।