বিধ্বস্ত ভারত, গুটিয়ে গেল ১৮৬ রানে

Slider খেলা

সাকিবের ঘূর্ণি আর এবাদতের কারিশমাতে ১৮৬ রানেই গুটিয়ে গেল ভারতের ইনিংস। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১৮৭ রান।

টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথম থেকেই বিরতি দিয়ে উইকেট পড়তে থাকে ভারতের।

প্রথমেই মেহেদী হাসান মিরাজ ভেঙে দেন ভারতের উদ্বোধনী জুটি। শিখর ধাওয়ানকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান তিনি। আউট হবার আগে ধাওয়ানের ব্যাটে এসেছে ১৭ বলে ৭ রান।

এর পরেই সাকিবের চমক। বোলিংয়ে এসে দ্বিতীয় বলে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান রোহিত শর্মাকে। এর এক বল পরেই লিটনের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন বিরাট কোহলি। আউট হবার আগে রোহিত শর্মা ৩১ বলে ২৭ ও কোহলি করেন ১৫ বলে ৯ রান।

৪৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে জুটি গড়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার আর লোকেশ রাহুল। তাদের ৫৬ বলে ৪৩ রানের জুটিটি অবশেষে ভাঙেন এবাদত হোসেন।

২০তম ওভারের শেষ বলে এবাদতের শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন আইয়ার (২৪)। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম নেন সহজ ক্যাচ। এক শ’র আগে (৯২ রানে) ভারত হারায় ৪ উইকেট।

এর পরে ভারতকে টেনে তুলছিলেন লোকেশ রাহুল আর সুন্দর। ৭৫ বলে তারা ৬০ রান যোগ করে দেন দলের জন্য। অবশেষে এই জুটিটি সাকিব ভেঙেছেন সুন্দরকে সাজঘরে ফিরিয়ে। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে পয়েন্টে এবাদতের ক্যাচ হন সুন্দর (১৯)।

এরপরের ওভারে এবাদত নিজেই আঘাত হানেন। এবার তাকে সাহায্য করেন সাকিব। শাহবাজের (০) একদম নিচু হয়ে যাওয়া ক্যাচ কভারে দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দী করেন। তার পরের ওভারে সাকিব বোল্ড করে ফেরান শার্দুল ঠাকুরকেও (২)। এর ২ বল পরে আবারো সাকিবের আঘাত। দিপক চাহারকে এলভির ফাঁদে ফেলেন।

এর পরে ৪০তম ওভারে আবারো এবাদতের আঘাত। ভারতের শেষ ভরসা লোকেশ রাহুলকে ফেরান ৭৩ রানে। শেষ উইকেট সিরাজকেও সাজঘরে ফেরান তিনি।

বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ৫টি, এবাদত ৪টি ও মেহেদি ১টি উইকেট শিকার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *