শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে যাওয়াতে একগাদা পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। তবে আক্রমণের ধার ঠিকই ছিল তিতের শিষ্যদের। যদিও ম্যাচের শুরু থেকে শেষ অবধি কোনো গোলের দেখা পায়নি। উল্টো যোগ করা সময়ে ধারার বিপরীতে গোল হজম করে। ক্যামেরুনের ভিনসেন্ট আবুবক্করের শেষ মুহূর্তে গোলের ১-০ ব্যবধানে হেরে গেল তিতের শিষ্যরা। বিশ্বকাপে আফ্রিকার প্রথম কোনো দল হিসেবে সেলেসাওদের হারাল ক্যামেরুন।
যদিও এ জয়ে নকআউট পর্বে যেতে পারল না আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন। একই গ্রুপ থেকে অন্য ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে রানার্সআপ হিসেবে নকআউটে উঠল সুইজারল্যান্ড।
শুক্রবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে ‘জি’ পর্বের শেষ রাউন্ডে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও ক্যামেরুন। যেখানে বল পজিশনের পাশাপাশি শটের তালিকায় বেশ এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। তারা ২১টি শট করে, যার ৭টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ক্যামেরুন ৭টি শটের ৩টি লক্ষ্যে রাখতে পারে। যার একটি গোলে পরিণত করে।
২০০২ ফাইনালের পর এটাই ব্রাাজিলের সবচেয়ে তরুণ দল, যাদের নেতৃত্বে ৩৯ বছর বয়সী দানি আলভেস। সাবেক বার্সা তার আবার গড়েন সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে খেলার রেকর্ড।
এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ভালো সুযোগ পায় ব্রাজিল। কিন্তু ফ্রেদ ও আন্তোনি কেউই গোল করতে পারেননি। এরপর ১৪তম মিনিটে মার্তিনেল্লির জোরাল হেড কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান দেভিস এপাসি।
খেলার ২০তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে ব্রাজিল শিবিরে প্রথম ভীতি ছড়ায় ক্যামেরুন। এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিংয়ে পাস পেয়ে নোহু টোলো বাঁ দিক থেকে ছয় গজ বক্সে সতীর্থের উদ্দেশ্যে ক্রস বাড়ান। তবে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলররক্ষক এদেরসন।
মার্তিনেল্লিকে ৪৫তম মিনিটে আরেকবার হতাশ করেন গোলরক্ষক। এবার ডি-বক্সের মুখ থেকে নেওয়া আর্সেনাল ফরোয়ার্ডের শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান এপাসি। যেখানে দুই মিনিট পর ম্যাচে প্রথমবারের মতো গোলের উদ্দেশ্যে প্রথম চেষ্টা চালায় ক্যামেরুন। তবে ব্রায়ান এমবিউমোর জোরাল হেড ঝাঁপিয়ে ফেরান এদেরসন। চলমান আসরে এই প্রথম ব্রাজিলের পোস্টে কোনো শট নিতে পারল প্রতিপক্ষ!
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে ব্রাজিল। তবে কখনো ক্যামেরুন গোলরক্ষক বাধা বা কখনো লক্ষভ্রষ্ট হওয়া। তবে ধারার বিপরীতে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের পর দ্বিতীয় মিনিটে ধারার বিপরীতে এক পাল্টা আক্রমণ চালায় ক্যামেরুন। যেখানে মাঝ মাঠ থেকে ডান দিক থেকে বল নিয়ে দৌড়ে আসা এনগোয়াম এমবেকেলির ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে গোলটি করেন ভিনসেন্ট আবুবাকার। তবে গোল করে করে জার্সি খুলে ফেললে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড হজম করে মাঠ ছাড়েন আবুবাকার।
অবশ্য ম্যাচের আরও ৭ মিনিট ক্যামেরুন ১০ জনের দল নিয়ে খেললেও ব্রাজিল কোনো গোল শোধ দিতে পারেনি।