আইল্যান্ড অব ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্রের দ্বীপ বলা হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবকে। সেই জাতির বিবেক খ্যাত জাতীয় প্রেস ক্লাবেই আজ গণতন্ত্রের সূর্য ডুবেছে। যারা সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবার সাহস রাখেননা, তারাই আজ সমঝোতা করে বিনা ভোটে ক্লাবের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে কমিটি ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসব কথা লিখেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, প্রথম আওয়ামী লীগ জামায়াতের সমঝোতা কমিটি হয়েছিলো। প্রতিক্রিয়া তীব্র হওয়ায় লজ্জা পেয়ে দম নেন। পরে আওয়ামী লীগ বিএনপির মোড়লরা কমিটি নির্বাচিত করে স্বঘোষিত নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। গণতন্ত্রের এমন করুণ মৃত্যু যারা ঘটিয়েছেন তারাই গণমাধ্যমের আলোচিত মুখ হয়ে মধ্যরাতের টকশোতে নীতি বাক্য বলেন। এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই, তারা ঢাকবেন কিভাবে। আমরা অনেকেই প্রেসক্লাবের সদস্য, আমাদের ডাকা হলোনা, জানানো হলোনা ভোট হলোনা, আমাদের না জানিয়ে শয়তানের প্ররোচনায় নেতৃত্ব হাইজাক করলো দুটি দলের অন্ধরা। একটি পেশাদার ক্লাবের কর্তৃত্ব তারা দখল করে নিলো! কেউ প্রতিবাদও করলোনা! এই অবৈধ নেতৃত্বে যারা তাদেরকে সমাজে না বলুন। যেখানেই দেখবেন সালাম না দিয়ে মনে মনে বলবেন শেম। এদের আমন্ত্রনে কোন অনুষ্ঠানে আমি যাবনা। এরা জাতীয় প্রেসক্লাবের ইমেজ নস্ট কর্রেছে অতীতে দলবাজিতে। এবার ক্ষমতাবাজি আর সুবিধাবাদীতায় গণতন্ত্রের কবর দিয়েছে। এরা আমার নেতা নয়। ক্লাবের বিনা ভোটের কমিটি বানানোর ক্ষমতা দুই ফোরাম বা দুই ইউনিয়নকে কে দিয়েছে? এদের নাম ক্লাব ইতিহাসে কালো হরফে লেখা থাকবেই। এই দিন দিন নয়। জবাব একদিন দিতেই হবে।