সমাবেশে আসার খরচ মেটাতে বিএনপির অনেক কর্মী চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপির ডিবি প্রধান দাবি করেন, বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে দলটির কর্মীরা মোবাইল ছিনতাই করছেন। কর্মসূচিতে আসার খরচ তুলতেই তারা এমনটা করছেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমরা একটি চোর বা ছিনতাই চক্রের সন্ধান পেয়েছি। বিএনপির যত জনসমাবেশ হয়, তারা সেখানে যান। তারা স্বীকার করেছেন, তারা বিএনপির কর্মী।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাবেশ থেকে ফেরার পথে চক্রটি রাজধানীতে চুরি-ছিনতাই করত। আসলে এটা কাউকে দোষারোপ করে না, কাউকে হেয় করার জন্য বলছি না। তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, তোমাদের পেশা কী? তখন তারা বলেছে, আমরা রাজনীতি করি। যখন বিএনপির সমাবেশ হয়, আমরা সেখানে যাই।… ফেরার পথে চুরি-ছিনতাই করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তারা বিএনপির রাজনীতি করেন। বিএনপির সমাবেশ হলেই তারা আসেন। আমরা তাদের কাছ থেকে ১৮টা মোবাইল পেয়েছি। এসব মোবাইল তারা বিএনপির সমাবেশ থেকে নাকি রাস্তা থেকে ছিনতাই করেছেন, সে বিষয়ে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করব।’
রাজধানীর বনানী ও খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার রাতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন মো. হারুন ওরফে আনিছুজ্জামান, হারুন-অর-রশিদ, মো. সোহেল, মো. এনামুল হক ও নূর ইসলাম।
হারুন অর রশীদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার মো. হারুন ওরফে আনিছুজ্জামান ও মো. হারুন-অর-রশিদ বরিশালে বিএনপির সম্মেলনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে যোগদান করেন। অপর সহযোগী এনামুল হকসহ তারা বরিশাল থেকে ঢাকায় আসেন। রাজনীতির পাশাপাশি তারা হাত খরচের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ, মিটিং-মিছিলে অংশগ্রহণ করে মোবাইল-ম্যানিব্যাগসহ মূল্যবান মালামাল চুরি ও ছিনতাই করে থাকেন। গ্রেফতাররা পারস্পরিক যোগসাজসে চুরি ও ছিনতাইসহ চোরাই মোবাইল স্বল্প দামে কিনে বেশি মূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রয় করে আসছে।